কলকাতা: নির্বাচনী প্রচার নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন৷ বাইক ব়্যালি করে ভোটারদের ভয় দেখানো হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল কমিশন৷ অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বদলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভায় প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হয়েছে৷ এই মর্মে রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন দফতরের তরফে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷
আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোটের ৩ দিন আগে থেকে এবার বাইক ব়্যালি নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন৷ বাইক ব়্যালি করে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷ বাইক ব়্যালিকে কেন্দ্র করে কম অভিযোগ জমা হয়নি নির্বাচন কমিশনের দফতরে৷ গত লোকসভা নির্বাচনের বাইক ব়্যালি করে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের মতো অভিযোগও উঠেছিল৷ এবার যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে৷
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বদলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন দফতর আজ এক নির্দেশিকা জারি করেছে৷ ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভার নতুন প্রশাসক হলেন খলিল আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন পুরসভার কমিশনার ছিলেন। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক অভিষেক ত্রিপাঠি, বিধাননগরের প্রশাসক হলেন দেবাশিস ঘোষ। আসানসোল পুর নিগমে নীতীন সিংঘানিয়া, শিলিগুড়ি পুরনিগমে প্রশাসক হিসেবে বসানো হয়েছে সুরেন্দ্র গুপ্তাকে। এখন থেকে তাঁরাই পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে, রাজ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল অরোরার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ রাতেই রাজ্যে আসছেন। আগামীকাল শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের আট জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ছাড়াও দায়িত্বে থাকা নোডাল আধিকারিকদের সঙ্গে তারা বৈঠক করবেন। আগামী বৃহস্পতিবার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহনের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব গতকাল সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ,পুলিশ কমিশনার সহ এডিজি আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রত্যেককে নির্বাচনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্ট কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।