জীবনের শেষ ইচ্ছে কী? ফাঁসির মঞ্চেও ‘ব্যর্থ বিল্পব’ নির্ভয়ার ৪ দোষীর

নির্ভয়া কাণ্ডে অপরাধী অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত, মুকেশ সিং এবং বিনয় শর্মার ফাঁসি হয়েছে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার সময়। তবে ফাঁসির আগে ওই ৪ দোষী পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, ফাঁসির আগে শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হলেও, সেই বিষয়ে কিছুই জানায়নি তারা।

নয়াদিল্লি: নির্ভয়া কাণ্ডে অপরাধী অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত, মুকেশ সিং এবং বিনয় শর্মার ফাঁসি হয়েছে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার সময়। তবে ফাঁসির আগে ওই ৪ দোষী পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, ফাঁসির আগে শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হলেও, সেই বিষয়ে কিছুই জানায়নি তারা।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে শেষ নির্দেশ পাওয়ার পরই শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে ডাকা হয় অপরাধীদের। তিহার জেলের ডিরেক্টর জেনারেল এদিন বলেন, 'মুকেশ ও বিনয় রাতের খাবার খেয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অক্ষয় শুধু চা খেয়েছিল। বিনয়কে একটু কাঁদতে দেখা গেলেও মোটামুটি সবাই শান্তই ছিল। প্রতি মুহূর্তের আদালতের নির্দেশ জানানো হচ্ছিল তাদের। যদি তাদের পরিবারের মৃতদেহ নিতে রাজি হয়, তাহলে তাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় আমরাই শেষকৃত্য করব।' ফাঁসির আগে শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ৪ দোষীর কাছেই। ফাঁসির নিয়ম অনুযায়ী, অপরাধীর যেকোনও ডকুমেন্ট, এমনকী, জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের এবং জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসকের অধীনে শেষ ইচ্ছেও জানাতে পারে দোষীরা। কিন্তু তিহার জেলের আধিকারিকদের কথায়, অপরাধীরা তাদের কোনও শেষ ইচ্ছের কথা জানায়নি তাঁদের। 

এর আগে জানুয়ারি মাসে অপরাধীদের ফাঁসির দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ পড়েছিল। তারপর ঘোষণা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারিতেই ফাঁসি হবে দোষীদের। তাও স্থগিত হয়ে দিন নির্ধারিত হয়েছিল মার্চের ২০ তারিখ। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে সম্মান জানিয়ে নির্ভয়ার মা গতকাল জানিয়েছিলেন, 'প্রাণভিক্ষার যা আর্জি করা হয়েছিল, পুরোটাই জোরজবরদস্তি। আদালতের দেওয়া ফাঁসির সিদ্ধান্তকে টলানোর চেষ্টা। কিন্তু আদালতও সেই প্রকৃত সত্য বুঝতে পেরেছে।' তাঁর কথায়, ন্যায়বিচার পেয়েছেন নির্ভয়া। ন্যায় বিচার পেয়েছে দেশবাসী। নেটিজেনদের একাংশও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে বাহবা জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলিউড তারকারাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 8 =