কলকাতা: কৃষিবিলের বিরোধিতায় আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার সরাসরি ঘোষণা করলেন, কৃষিবিলের বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে কেরালা, পাঞ্জাবের পথেই হাঁটতে চলেছে বাংলা৷
এর আগে বাম কংগ্রেস জোট মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিধানসভা অধিবেশন শুরুর কথা জানান। চিঠিতে তারা এই কৃষিবিলের বিরোধিতা করার কথাও উল্লেখ করেন। সেই মতো আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমরা এক বা দু’দিনের জন্য বিধানসভা অধিবেশনের আয়োজন করে কৃষি বিলগুলি প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রস্তাব আনব। আমরা চেষ্টা করব যাতে এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। আমি জানি বিজেপি এই প্রস্তাব সমর্থন করবে না। তবে আমার আশা, অন্য রাজনৈতিক দলগুলি এতে সমর্থন জানাবে।’
কৃষক আন্দোলনকে আগেই সমর্থন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদের একটা প্রতিনিধি দলকেও সিংঘু বর্ডারে পাঠান খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। ফোনে কথাও বলেন আন্দোলনরত কৃষদের সাথে। অন্যদিকে আজ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক নিধি কর্মসূচিকে মেনে নিয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আবার কৃষক বিদ্রোহে প্রতিদিনই চলছে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা। কৃষিবিলের বিরুদ্ধে বিধানসভার আগামী অধিবেশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
গত বৃহস্পতিবার যৌথভাবে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-কংগ্রেস৷ তাঁদের বক্তব্য, ভোট আসছে৷ কিন্তু বিধানসভা এখনও ভঙ্গ করা হয়নি৷ স্থগিত রাখা হয়েছে৷ ফলে সরকার বা স্পিকার চাইলে নতুন করে অধিবেশন ডাকতেই পারে৷ তাই অনাস্থার কথা না বললেও, বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ তাঁদের মতে, মানুষ মনে করছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কোনও আস্থা এই মুহূর্তে নেই৷ তৃণমূলে এখন ভাঙন ধরেছে৷ যে সকল রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ক্ষমতায় রয়েছে তারা কৃষি বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে রক্ষা কবচ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ রাজ্য সরকারও যদি কৃষি বিলের বিরোধী হয়, তাহলে তাঁদেরও বিধানসভা ডেকে কৃষি বিলের ক্ষতিকারক দিকগুলি বিবেচনা করে কৃষকদের জন্য রক্ষা কবচ তৈরি করা উচিত৷