নয়াদিল্লি: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হতে চলেছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট নির্মিত টিকা সরকারের তরফ থেকে প্রথম পর্যায়ে বণ্টন করা হবে করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে। কিন্তু টিকা নিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় নেবে কে? এদিন সরকারের তরফ থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে হাত গুটিয়ে নেওয়া হল।
করোনা টিকা নেওয়ার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মোদি সরকার তার দায় নেবে না, এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, টিকা নেওয়ার কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সম্পূর্ণ দায় গিয়ে বর্তাবে ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার উপরেই। অর্থাৎ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিরাম ইন্সটিটিউটকে।
আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই এই টিকা পাবেন। জানা গেছে, গোটা দেশের ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে। তবে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫ হাজার করার ভাবনাও জানিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া জানানো হয়েছে, প্রতি কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অন্তত আধঘণ্টা স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারিতে থাকতে হবে বলেও জানা গেছে। টিকার ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যেই এই ব্যবস্থা। তবে একটি মাত্র ডোজে কাজ হবে না। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৯ দিনের মধ্যেই নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে শুধুমাত্র টিকা বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু টিকার ফলে অসুস্থতার কোনো দায় কেন্দ্রের নেই, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। এদিন আইসিএমআর-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘শনিবার থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ কমর্সূচি সার্বিক নয়। এখনও কোভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তাই ডিসিজিআইয়ের ছাড়পত্র নিয়ন্ত্রিত। ফলে একে চতুর্থ দফার ট্রায়ালও বলা যায়। আর ট্রায়ালে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, এক্ষেত্রেও তাই হবে।’’ জানা গেছে, টিকাকরণের ফলে কারোর অস্বাভাবিক কিছু ক্ষতিসাধন হলে তার আইনি দায়ভার তথা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কেন্দ্রকে দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সিরাম। কিন্তু এদিন কার্যত তা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে সরকার।