রাজ্যে এল দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর দেহ, শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে এল দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর দেহ, শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে এল দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর দেহ। সোমবার সড়কপথে ওড়িশা থেকে ওই দেহগুলি এসে পৌঁছয় রাজ্যে। নবান্নের কাছে টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকায় মৃতদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কফিন বন্দি দেহগুলিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় নিহত এই ৪ জনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মৃতেরা হলেন কুলপির অনিমেষ মণ্ডল, সাগরের স্বপ্না প্রামাণিক, বিষ্ণুপুরের বিশ্বনাথ চক্রবর্তী এবং বারুইপুরের সৌরভ রায়। এদিন তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ৮৬ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। দেহগুলিকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এখন অগ্রাধিকার সরকারের। মৃতের পরিবার ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মমতা, এদিন পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। ট্রেন দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হয়েছে এমন ব্যক্তিদের পরিবার চাইলে তাদেরও চাকরি দেওয়া হবে বলে জানান।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মৃতদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ৩ দিনের সফরে সোমবারই দার্জিলিঙ যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি তদারকির জন্য সেই সফর তিনি বাতিল করেন। দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এবং চিকিৎসার তদারকিতে মঙ্গলবার কটক যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার রেলের সেই সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা। তাঁর দাবি, অতীতে জ্ঞানেশ্বরী ও সাঁইথিয়া রেল দুর্ঘটনার তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। যার রিপোর্ট এখনও মেলেনি।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ‘স্মৃতি’ বুকে নিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ওড়িশার বাহানাগা। দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর ঐ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এলাকায় চলছে মেরামতির কাজ। অস্থায়ী মর্গ ও হাসপাতালে মৃতদেহের স্তূপের মাঝে প্রিয়জনের সন্ধান চালাচ্ছেন বহু মানুষ। শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। অভিশপ্ত সন্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেকে ঘরে ফিরেছেন, কেউ কেউ হাসপাতালের বেডে শুয়ে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে… আর যারা সুযোগ পেলেন না বাঁচার! কফিনবন্দি হয়ে শেষ বারের মতো তাঁরাও ফিরলেন ঘরে… 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 2 =