কলকাতা: কর্ণাটক কংগ্রেসের। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপির বিপর্যয় হতেই দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে অ-বিজেপি দলগুলি। পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য কর্নাটকের জনগণকে টুইট করে আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন। ঔদ্ধত্য ও অহংকারের পতন! কর্ণাটকে বিজেপির ভরাডুবিকে এই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি কর্ণাটকে জয় পাওয়া কংগ্রেসকেও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কর্ণাটক নিয়ে হাতের জয় অপেক্ষা বিজেপি-র হারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আসন্ন মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনেও হারবে বিজেপি। বিজেপির এই ফলাফল চব্বিশের ‘শেষের শুরু’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘‘বিজেপির জমানায় সকলে কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন। আইন আদালতের হস্তক্ষেপ বাড়ছে। স্বার্থ চরিতার্থ করার রাজনীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় কর্ণাটক বিধানসভার দখল নিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি অনেক পিছিয়ে… দু-অঙ্কও পেরতে পারেনি। কর্ণাটক হাত ছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির দক্ষিণ ভারত দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত দক্ষিণের একমাত্র এই রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল কেন্দ্রের শাসক দল। কিন্তু, বিধানসভা ভোটে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে পদ্ম শিবিরের এহেন ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছসিত বিরোধীরা।
২০২৪ লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে বিরোধী ঐক্যের উপর অনেক দিন ধরেই জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়ে একাধিকবার বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও একবার দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে।
কর্নাটকে কংগ্রেসের এত বড়সড় জয়ের পর সেই বিজেপি বিরোধিতায় ‘নেতৃত্ব’ দেওয়ার প্রশ্ন পরিস্থিতির যে খানিকটা পরিবর্তন হবে, সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অবস্থার এই পরিবর্তন কি আদৌ মানবেন তৃণমূল নেত্রী? সেটাই এখন দেখার।