নন্দীগ্রাম: বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের তাৎপর্য বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক ভাবে। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রামে। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে পায়ে বেজায় চোটও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটের আগে শাসকদলকে সবথেকে বেশি চাপে রেখেছে যে চাকরিপ্রার্থীরা, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রেও দেখা দিল সেই কাঁটা।
প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে নন্দীগ্রামে জড়ো হন একদল আন্দোলনকারী। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান তুলে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেট পাশ করার পরেও তাই মেলেনি চাকরি। ২০১৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা, জানা গেছে তেমনটাই। এদিন বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ১৬৫০০ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে পূর্ণ প্রশিক্ষিতরা বঞ্চিত হয়েছেন। দাবি একটাই, আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, অবিলম্বে করতে হবে নিয়োগ।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা মূলত ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিতরা চালাচ্ছেন আন্দোলন। উল্লেখ্য, এবারের ভোটের আগে চাকরিতে বঞ্চিত প্রার্থীরা নানা মহল থেকেই সামিল হয়েছেন শাসকবিরোধী বিক্ষোভে। কখনো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আদিগঙ্গায় নেমে, কখনো বা অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। এদিকে ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতিকেই ফের হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রায় প্রতিদিনের মতো আজও দিয়েছেন কর্মসংস্থানের ঢালাও আশ্বাস। মেদিনীপুরের সভা থেকে প্রতি বছর ৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন তিনি।