প্রধানমন্ত্রীরাও কিন্তু ৬ ভাই-বোন! নীতীশের অপ্রীতিকর মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তেজস্বী

রাত পোহালেই প্রথম দফার নির্বাচনে শুরু।

পাটনা: বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে গোটা বিহার জুড়ে। রাত পোহালেই প্রথম দফার নির্বাচনে শুরু। তার আগেই রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছিল তেজস্বী যাদবের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্তব্যকে ঘিরে। সোমবার এক জনসভায় দলের প্রচারে গিয়ে তেজস্বীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন নীতীশ। মন্তব্য করেন, যারা ৮-৯ টা করে ছেলেমেয়ের জন্ম দেয়, তাদের ওপর ভরসা রাখা যায় না। এবার এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তেজস্বী। নীতীশকে মনে করালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরাও ছয় ভাই-বোন! 

নীতীশ কুমারকে পাল্টা আক্রমণ করে লালুপুত্র তেজস্বী দাবি করেন, এই ধরনের ব্যক্তিগত মন্তব্য করে আদতে নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরাও ছয় ভাই বোন! তবে এই ধরনের মন্তব্য মহিলাদের পক্ষে অপমানজনক। নীতীশ কুমারের মন্তব্যে তাঁর মায়ের অপমান হয়েছে বলে দাবি করেন তেজস্বী। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এই ধরনের লোকেরা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লোককে অপমান করতে পারে। কিন্তু তারা কখনও দুর্নীতি, বেকারত্ব, নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলবে না। 

তেজস্বী আরো বলেন, নীতীশের কথায় অপমানিত হলেও তাঁর কথাগুলো তিনি আশীর্বাদের মত নেবেন। যদিও কটাক্ষের ভাষায় বলেন, এই ধরনের মন্তব্য করে তিনি আসলে শান্তি খুঁজছেন। আসলে তিনি খুব ক্লান্ত, তাই যা ইচ্ছা করে যাচ্ছেন। তবে বিহারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে মানুষ, তখনই নীতীশ বাবু বুঝতে পারবেন আদতে কোথায় ঘাটতি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, পশুখাদ্য মামলায় বাবা লালুপ্রসাদ যাদব জেলবন্দি থাকায় একা হাতেই নির্বাচনী প্রচার সামলাচ্ছেন তেজস্বী যাদব। বিজেপি এবং জেডিইউ জোটকে ধরাশায়ী করতে উন্নয়ন এবং অর্থনীতিতে জোর দিয়েছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছেন। রাজনৈতিক একাংশের মতে, তেজস্বী যাদবের প্রচারে কিছুটা ভীত হয়েছে বিরোধীরা। সেই কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তাকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার হাজিপুরের এক নির্বাচনী সভায় লালু পুত্র তেজস্বী যাদবকে নিশানা করে নীতীশ কুমার মন্তব্য করেন, ওদের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। ওরা ৮-৯ টা করে বাচ্চা জন্ম দেয়। পুত্র সন্তানের আশায় একের পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ওরা আসলে কন্যা সন্তানকে গুরুত্বই দেয় না। মেয়েদের উপর ওদের কোনো আস্থা নেই। তাই তাদের ওপর আস্থা করে ভোট দেওয়া মুর্খামি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 1 =