করোনা প্রতিরোধে অবৈজ্ঞানিক প্রচার, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি শিক্ষক সংগঠনের

করোনা প্রতিরোধে অবৈজ্ঞানিক প্রচার, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি শিক্ষক সংগঠনের

কলকাতা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজ্য তথা দেশজুড়ে সরকারিভাবে বিজ্ঞান সম্মত সচেতনতা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও করোনা প্রতিরোধের নিত্যনতুন অবৈজ্ঞানিক প্রতিষেধকের প্রচার চলছে। আশ্চর্যের বিষয়, বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগঠন, এমনকি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও এইধরণের প্রচারে প্রতক্ষ্যভাবে অংশ নিচ্ছেন।

যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯-এর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই, তাই ডাক্তার, গবেষকদের সাবধানবাণীর তোয়াক্কা না করেই প্রাণের ভয়ে এই স্তরের ব্যক্তিত্বদের সোজা সাপটা অবৈজ্ঞানিক প্রতিষেধক ও অভয়বাণীর প্রতিই আস্থা রাখতে চাইছেন সাধারণ মানুষ। প্রাণের ভয়ে নির্দ্বিধায় সেই উপায়গুলি অবলম্বনও করছেন অনেকেই। যেমন গোমূত্র সেবন। কিছুদিন আগেই অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে রীতিমতো গোমূত্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। এমন বহু খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্করভাবে ভাইরাল হয়ে চলেছে। এবার এর বিরুদ্ধে সরব হল রাজ্যের শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ।

করোনাভাইরাসের প্রসার রুখতে অবৈজ্ঞানিক প্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান পুলিশের কাছে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ জানাল শিক্ষকদের এই সংগঠন। সংগঠনের সহ-সম্পাদক শ্রীমন্ত ঘোষ ও সহ-সভাপতি সুমন কল্যান হাটি দায়িত্বশীল শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি, সমাজকর্মী ও বিজ্ঞান সচেতন শিক্ষক হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁদের মতে করোনা প্রতিরোধে এই কুসংস্কার ও অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মানুষের জীবনে  মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি একটি মহামারীর হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে অন্যান্য মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সহ সম্পাদক শ্রীমন্ত ঘোষ বলেন, ‘‘সমাজ-সচেতন একজন শিক্ষক হিসেবে এই কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস কখনও মেনে নেওয়া যায় না৷ আমরা সাংগঠনিক ভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ রাজ্য প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 2 =