কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক বাদানুবাদে ততই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার পরিস্থিতি। একদিকে যেমন একের পর এক দলীয় নেতার পদত্যাগ তথা দলবদলে জেরবার শাসকদল, তখনই মুখ্যমন্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছেন শিক্ষা মহলের কর্মীরা। সেই আবহেই বাগদেবীর আরাধনার দিন পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী থাকল শহর।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে কালীঘাটের আদিগঙ্গায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষামিত্ররা, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। নানা ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগেই এই অভিনব প্রতিবাদের পন্থা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। আর প্রতিবাদ জানানোর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই বেছে নিয়েছেন সরস্বতী পুজোর দিনটিকেও।
বস্তুত, কালীঘাট অঞ্চলে আদিগঙ্গার একদিকে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তার উল্টো দিক থেকেই এদিন প্রতিবাদ জানাতে জলে নেমে পড়েন পার্শ্ব শিক্ষক তথা মাদ্রাসা শিক্ষাকর্মীরা। জল অবশ্য বিশেষ ছিল না। গঙ্গার প্রায় মাঝামাঝি পৌঁছে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে মুখ করেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন স্বয়ং কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে জলের উপরে তোলা হয়। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রের খবরে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই কীভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হল, উঠে গেছে সে প্রশ্নও।
শিক্ষকদের এহেন প্রতিবাদকে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ফেলেন না, সময় নেন। চেষ্টা চলছে কীভাবে কী করা যায়।” গঙ্গাবক্ষে দাঁড়িয়ে এই আন্দোলন মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কেন যাবে?” বাড়ি যাওয়ার রেওয়াজ যাঁরা তৈরি করছেন তাঁরা ভালো করছেন না, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
