কলকাতা: বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে বদলির জন্য অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের একাংশ ফের এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বদলি হয়েছে বটে কিন্তু তাঁদের বেতন কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ৷ শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা 'পে প্রোটেকশন' পাচ্ছেন না, পাশাপাশি তাঁদের আগের বেতনেও পড়েছে কোপ৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন, তাহলে কেন তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য বেতন পাবেন না! বর্তমানে নবাগত পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন হারে তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন তাঁরা অভিজ্ঞতার দাম পাবেন না, এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বদলির আবেদনের সাড়া নিয়ে ধন্দে না থেকে নতুন করে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বদলি হওয়ার পর, তাঁদের বেতন হঠাৎ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে কমে গিয়েছে। এই শিক্ষকদের মধ্যে অনেকের ১০ থেকে ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক শিক্ষকের জানিয়েছেন, তিনি নদিয়া জেলার একটি স্কুলে পড়াতেন। সমস্যা হওয়ায় বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলির জন্যই ফের এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বদলিও হয়েছিলেন বাড়ির কাছের একটি স্কুলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর বেতন প্রায় ১৫ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। বর্তমানে হতাশায় ভুগছেন তিনি৷ ওই শিক্ষক মন্তব্য করেছেন, একান্ত যদি 'গ্রেড পে' কমাতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে বেতনের ন্যূনতম সামঞ্জস্য রাখা প্রয়োজন।
যে সমস্ত শিক্ষকরা স্পেশাল গ্রাউন্ড বা বিশেষ কারণে বদলি হচ্ছেন, তাঁদের বেতন কমছে না। শুধুমাত্র যাঁরা নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে বদলি হচ্ছেন, বেতন কমছে তাঁদের। কয়েকটি শিক্ষা সংগঠন ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সরব হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের দাবি, শিক্ষা দফতরকে যত দ্রুত সম্ভব ওই সমস্ত শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। পাশাপাশি পে প্রোটেকশন অ্যান্ড সার্ভিস কন্টিনিউয়েশন বা বেতন সুরক্ষা ও চাকরির ধারাবাহিকতা দিয়ে শিক্ষকদের সমস্যা মেটাতে হবে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে এখনও কিছু জানাননি৷