শিক্ষক নিয়োগে ‘অযোগ্য’দের অগ্রাধিকার! ফের হাইকোর্টে দায়ের মামলা

শিক্ষক নিয়োগে ‘অযোগ্য’দের অগ্রাধিকার! ফের হাইকোর্টে দায়ের মামলা

কলকাতা: এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও সংঘাত জাড়াল কেন্দ্র-রাজ্য, সৌজন্যে শিক্ষক সংক্রান্ত মামলা৷ কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যথেচ্ছভাবে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷

নানান কারণে সপ্তমে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত৷ অভিযোগ, এই সংঘাতের কারণে ‘বঞ্চিত’ হচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ ‘যোগ্য’ এবং ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’ হওয়া সত্ত্বেও তাদের ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ প্রার্থীদের একাংশের দাবি, ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’ নয় তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷ মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷

মামলার বয়ান অনুযায়ী, গত ২৩ নভেম্বর ২০২০ সালে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ১৬,৫০০ শূন্যপদের জন্য শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, বিএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা প্রাইমারি স্কুলের শরীরশিক্ষা জন্য আবেদন বা অগ্রাধিকার পাবেন৷ কিন্তু বিপিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সেই সুযোগ দিচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বলে অভিযোগ৷ অথচ ব্যাচেলার অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন দু’বছরের এই বিশেষ কোর্স শুধুমাত্র শারীর শিক্ষার উপর এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ কিন্তু কেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তাদেরকে বঞ্চিত করে কেন বিএড এবং ডিএড দের অগ্রাধিকার দিচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ অভিযোগ, বিপিএডের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ডের কাছে আবেদন করলেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বোর্ড কর্তৃপক্ষ৷

মামলকারী মিলন কুমার জানা সহ ৩০ জন মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা আইনে শরীরচর্চা বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় নয়া আইনকে উপেক্ষা করে শরীরচর্চা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিয়োগ করতে চলেছে। যা সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী৷ চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *