কলকাতা: তসলিমা নাসরিন৷ তাঁর নামের সঙ্গেই যেন জড়িয়ে রয়েছে বিতর্ক৷ তরোয়ালের মতো ধারানো কমলের খোঁচায় তিনি বারেবারে বিদ্ধ করেছেন সমাজের গোঁড়াদের৷ কোনও দিনই সমাজের তোয়াক্কা করেননি লেখিকা৷ নিজের প্রেম নিয়েই তিনি ছিলেন একই ভাবে সাহসী৷ কোনও দিনই সমাজের পরোয়া করেননি৷ ঝরনার স্রোতের মতো তাঁর জীবনে প্রেম এসেছে৷ তেমনই অবাধ যৌনতাতেও মেতেছেন অবলীলায়৷ নিঃশর্ত নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছেন পৃথিবীর অমূল্য এই অনুভূতির কাছে। পরিচয় দিয়েছিলেন সাহসিকতার৷
আরও পড়ুন- নগ্নতাই বেশি পছন্দ করণের, স্বামীর হট সিক্রেট ফাঁস করলেন বিপাশা
ফেব্রুয়ারি মানেই প্রেমের মাস৷ ‘রোজ ডে’, ‘প্রপোজ ডে’, ‘চকোলেট ডে’, ‘টেডি ডে’ পেরিয়ে আজ ‘প্রমিস ডে’। শুক্রবার গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে আরও একবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন লেখিকা৷ কী ভাবে ছক চেনা ছক প্রেমে মগ্ন হয়েছিলেন তিনি? ২০১৬-র একটি পোস্ট সামনে এনে নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা। তসলিমার কথায়, ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে।’ শুধু তাই নয়, ইউরোপের দেশেও পথে ঘাটে ইউরোপীয় প্রেমিককে জড়িয়ে চুমু খেয়েছেন লেখিকা। কখনও আবার ঘোর পূর্ণিমা-রাতে যৌনতায় মেতেছেন নির্জন সমুদ্রপাড়ে! সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন জ্যোৎস্না স্নাত নিবিড় অরণ্যে। লেখিকার কাছে যৌনতা সব সময়ই খুব সুন্দর। তা সে নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডার বা কুইয়ার হোক না কেন৷
তবে যৌনতা নিয়ে তসলিমার হাল্কা ক্ষোভও রয়েছে। তাঁর মতে, পশুদের থেকে সভ্য দুনিয়ায় বসবাসকারী মানুষের শেখা উচিত কী ভাবে যৌনতার উদযাপন করতে হয়! তাই তো তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝি না, বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গিয়েছে, আর কত দূরে সরবে!’’ তাঁর কথায়, ‘‘মানুষগুলো দিন দিন দু’পেয়ে যন্ত্র হয়ে উঠছে। সঙ্গমগুলোও যেন আর সঙ্গম নেই! সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। আর ভালবাসা হয়ে উঠছে ঈর্ষা।’’