নন্দীগ্রাম: দলের বর্ষীয়ান নেতা হোক বা তরুণ প্রজন্মের সমর্থক, নন্দীগ্রামের বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ভালোবাসা পেয়েছেন সকলেরই। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে নানা সময়ে নন্দীগ্রামের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে দু-হাত ভরা আশীর্বাদ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ যে আশীর্বাণী তাঁর জন্য এল তার তাৎপর্য খানিক আলাদা। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত নন্দীগ্রামের সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে কলম ধরলেন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি দ্বৈরথে এবার হাইভোল্টেজ মাত্রা পেয়েছে এই কেন্দ্র। তবে শুধু তৃণমূল বিজেপি না, সংযুক্ত মোর্চাও নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে দিয়েছে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। শুভেন্দু-মমতার দ্বৈরথের জৌলুসে যাতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের লড়াই ম্লান না হয়ে যায়, তার চেষ্টাই এদিন করতে দেখা গেল তরুণ মজুমদারকে। একটি চিঠিতে তিনি লিখলেন, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের নাম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রার্থীদের মধ্যে একজনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরজন শুভেন্দু অধিকারী। এই সেদিন পর্যন্ত আজ ওঁরা এক পার্টিতেই ছিলেন। আজ কী কারণে জানি না এঁরা পরস্পরের প্রতি রণহুংকার ছাড়চ্ছেন।মিডিয়া ব্যস্ত এঁদের মচকানো পা আর ভাঙা গলার কসরৎ নিয়ে।”
শুধু দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে কটাক্ষ করেই ক্ষান্ত থাকেননি বর্ষীয়ান পরিচালক। তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি আরও একটি অল্পবয়সী মেয়ে আছে। যে হাতে লাল পতাকা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছে।.. মেয়েটির নাম মীনাক্ষী মুখার্জি। গর্ব করার মত মেয়ে। আপনারাই পারেন ওকে জিতিয়ে আনতে।”
বস্তুত, সত্তর আশির দশকের বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় পরিচালক তরুণ মজুমদার বরাবরই বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। এমনকি তাঁর পরিচালিত নানা ছবিতেও এই ভাবধারার প্রতিফলন দেখা গেছে। ৯০ বছরের প্রবীণ এই পরিচালক সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে কলম ধরায় নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক লড়াই আলাদা মাত্রা পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।