রামপুরহাট: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল-কলেজ, অফিস কাছারি। একই হাল হয়েছিল ধর্মস্থানগুলিরও। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের তরফে। পরে অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে এবং কেন্দ্র আরোপিত বিধিনিষেধ মেনে খোলার ছাড়পত্র পায় মন্দির-মসজিদ। তবু এতদিন ধরে বানফ্লার অন্যতম শক্তিপীঠ তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার বন্ধ ছিল। এবার তাও খুলে দেওয়া হল ভক্তদের জন্য।
ভক্তশূন্য কৌশিকী অমাবস্যার পর সোমবার একগুচ্ছ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলল তারাপীঠ মন্দির। অতিমারির পরিস্থিতিতে অবশ্যই সমস্ত রকম সরকারি নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। মন্দিরে প্রবেশের আগে থার্মাল গানে মাপা হবে শরীরের তাপমাত্রা। এরপর স্যানিটাইজ করতে হবে। এছাড়াও স্যানিটাইজার টানেলে প্রবেশ করে সমগ্র শরীর জীবাণুমুক্ত হলে তবেই পুজোর লাইনে দাঁড়াতে পারবেন ভক্তরা। দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়াতে হবে সেখানেও। গর্ভগৃহে প্রবেশ করে মা তারাকে পুজো দেওয়া অবশ্য এখনও নিষিদ্ধ।
জানা গেছে আলতা সিঁদুর ইত্যাদি নিয়ে মায়ের চরণ স্পর্শ করা যাবে না। গর্ভগৃহে ভক্তের লাইনে থাকা মন্দিরে ঘন্টাও খুলে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র সেবাইতদের মাধ্যমে দূর থেকে মা তারার পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। ভোগ বা মহাপ্রসাদ বিতরণ করাও আপাতত বন্ধই রাখা হয়েছে। এছাড়া মন্দির খোলায় হোটেল মালিক সহ ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ীদের করোনা বিধি মেনে তবেই সামগ্রী বিক্রি কিংবা রুম ভাড়া দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদীন পর আজ মন্দির খোলায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম দিনে তেমন ভাবে পুণ্যার্থীদের ভিড় চোখে পড়েনি। যেটুকু ভক্ত সমাগম তা স্থানীয়দের দ্বারাই হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা থমকে থাকায় ভক্ত সমাগম যে এখনই আগের মতো হবে না তা বলাই বাহুল্য। তারাপীঠ যাওয়ার জন্য শহর কলকাতার মানুষের বেশিরভাগই হাওড়া থেকে রামপুরহাট গামী ট্রেন ধরেন। কিন্তু লোকাল ট্রেন পরিষেবাও এখন বন্ধই। তাই আপাতত ফাঁকাই থাকছে সাধক বামা খ্যাপার স্মৃতি বিজড়িত তারাপীঠ।