তারকেশ্বর: করোনার কোপে বন্ধ হয়েছে বাংলার সমস্ত স্কুল-কলেজ৷ করোনা প্রভাব পড়েছে বাংলার সমস্ত আদালতে৷ করোনা রুখতে ভিড় এড়িয়ে চলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে৷ সমস্ত খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ঠাকুরনগরে মতুয়া মেলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, করোনা রুখতে গুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি হলেও নির্ধারিত সূচি মেনে শুরু হল তারকেশ্বরে গাজন মেলা৷ চলবে একমাস৷ আর তাতেই সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পয়লা চৈত্র, রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তারকেশ্বরের গাজন মেলা৷ টানা এক মাস চলার কথা৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা৷ তারকেশ্বর মন্দিরের দুধপুকুরে স্নানপর্বও চলছে৷ এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে৷ কিন্তু, করোনা আতঙ্কে মধ্যে মেলা ঘিরে গুরুতর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ করোনা রুখতে মেলায় এখন ভগবান ভরসা৷
করোনা সচেতনতা উড়িয়ে মন্দিরের পুরোহিতরা বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং শিব৷ তিনি আমাদের করোনা থেকে রক্ষা করেন৷ শিবের আরাধনায় করোনা প্রভাব ফেলবে না৷ এই চৈত্রের শেষে শিব-পার্বতীর বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ চৈত্র মাসে সন্ন্যাস নেওয়ার প্রচলন রয়েছে৷ অসংখ্য মানুষ সন্ন্যাস নেন৷ তারকেশ্বরে গাজন মেলায় ভিড়ও জমে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, করোনা যখন গোটা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে, রাজ্যের স্কুল-কলেজ-আদালত যখন কার্যত বন্ধ, ভিড় এড়িয়ে চলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখন কীভাবে এই মেলার অনুমতি দিল স্থানীয় প্রশাসন? মেলার ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তার দায় নেবে কে? পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি তো স্থানীয় প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক দলের নেতার?