Maoist Activities
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রয়েছে মাওবাদী অস্তিত্ব৷ সেখানে মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল৷ এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলার অনুমতি চাইলে মামলা করার অনুমতিদেয় আদালত৷
যাদবপুরকাণ্ডে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি, অবিলম্বে এনআইএ তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার দায়ের অনুমতি চান তিনি৷ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে শুনানি।
শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে এই অতিবাম সংগঠনগুলো সক্রিয় রয়েছে৷ তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিও জানানো হয়েছে। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘২০২২ সালে নদিয়া থেকে বেশ কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। মৃত পড়ুয়ার বাড়িও নদিয়ায়। সে কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কী না, সেটা জানাটাও জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।’
এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে র্যাগিংয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার অনুমতিও দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এ সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি হতে পারে।