‘বেকারদের সর্বনাশ করছে সরকার’, নিয়োগ কেলেঙ্কারি পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

‘বেকারদের সর্বনাশ করছে সরকার’, নিয়োগ কেলেঙ্কারি পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলা জুড়ে ভোট পূর্ববর্তী রাজনৈতিক তরজা জারি। একুশের মহাযুদ্ধের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক নেতাদের বাদানুবাদে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার এক হাত নিলেন শাসক দলকে। তুললেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ৷

রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিল বিজেপি। কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে বিধানসভা অভিযানের ঘোষণা করা হয়েছিল পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে। এদিন সেই সূত্রেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তুলোধুনো করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভগবানপুরের অর্জুননগরে তফশিলি মোর্চার জনসভা থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাকে একটু আগেই এক ছোটো ভাই বলছিলেন, দাদা ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তো হবে, দেখবেন যেন প্রতি বছর এসএসসি (SSC) টা হয়। এরা ৭ বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশন করেনি।”

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যে এসএসসি সরকারি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়নি। “লক্ষ লক্ষ বেকারকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিয়েছে এই সরকার। আপনারা দেখছেন টেটে, কি কেলেঙ্কারি হচ্ছে”, বলেন তিনি। এছাড়া এদিন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের খাতা বদল হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের আগে রাজ্যের মানুষের কল্যাণ সাধনে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সেই নানাবিধ প্রকল্পগুলিকেও কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাততালি কুড়োনোর জন্যেই এই সমস্ত ঘোষণা করে সরকার, জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যে গত সাড়ে ৯ বছরে বড় কোনও শিল্প আসেনি বলেও এদিনের সভা থেকে জানিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের সভা থেকেও সেই পথেই হেঁটেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 14 =