সিঙ্গুর: কৃষক স্বার্থকে সামনে রেখে সিঙ্গুরে ধরনায় বসেছে বিজেপি৷ সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন ফের তৃণমূলকে তোলামূল বলে তোপ দাগেন তিনি৷ শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রের থেকে টাকা নিয়ে নাম বদলে প্রকল্প করছে রাজ্য সরকার৷ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্স করছে রাজ্য সরকার, সেই কারণে রাজ্যের কৃষকরা কোনও ক্ষতিপূরণ পান না৷’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, তাঁদের সাত দফা দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে৷ উল্লেখ্য, আজই সিঙ্গুরে ধরনার শেষ দিন৷
আরও পড়ুন- চুম্বনের অছিলায় ফিল্মি কায়দায় প্রেমিককে গুলি! প্রেমিকাকে আটক করল পুলিশ
প্রসঙ্গত, এই সিঙ্গুর থেকেই ভূমি আন্দোলন শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভূমি আন্দোলনের সেই পীঠস্থানে দাঁড়িয়েই আগামী দিনে বিজেপি’র আন্দোলনের রোডম্যাপ তৈরি হল বলে ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, “নবান্নের চোদ্দ তলায় যে মালিক বসে আছেন, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি যিনি চালাচ্ছেন, যিনি ভাইপোকে এনে এই রাজ্যপাট তুলে দিতে চাইছেন, যাঁর ভ্রাতৃবধূ সমাজসেবা করে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা করেছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের স্বভিমানের কথায় মাথায় রেখে তাঁর পুলিশকে বলে দিলেন তোমরা দু-তিনশো মিটার পিছিয়ে যাও৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই মঞ্চ ভাঙা হলে কৃষকদের মাথা ভাঙা হবে৷ এঁদের আটকানো হলে কৃষকদের আটকানো হবে৷ ২০১১ সালে আমি এসেছিলাম সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা বলে৷’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে বলেই দাবি শুভেন্দুর৷
সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘‘এই তো সবে শুরু। আমি গাঁয়ের ছেলে। আলু লাগানোর আগে আমাদের আগুয়া চিরতে হয়। আজ এই আন্দোলনের আগুয়া চেরা হল। ভাববেন না এখানেই শেষ। এবার আমরা বীজটা ছড়াব। তার পর জল দেব। আবর্জনা সাফ করা হবে। প্রয়োজনে কীটনাশক দেব। তার পর তো ফলটা ফলবে।”