sutapa chowdhury
বহরমপুর: ২০২২ সালের ২ মে, মেসে ফেরার পথে প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। খুনের অভিযোগে সুতপার প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীক গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলারই রায় ঘোষণা হবে আজ৷ মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুরের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সন্তোষকুমার পাঠকের এজলাসে শোনানো হবে মামলার রায়৷ মেয়ের হত্যাকারীর যাতে কঠিন শাস্তি হয়, সেই দাবিই করেছে সুতপার পরিবার।
সুতপা খুনের ঠিক এক বছরের মাথায় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সুতপা খুনে অভিযুক্ত ও ধৃত সুশান্ত চৌধুরীকে পেশ করা হয় আদালতে। প্রায় ১৬ মাস বিচার প্রক্রিয়ার পর আজ সাজা ঘোষণা৷ সুশান্তকে কী সাজা শোনানো হয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বহরমপুরবাসী। সুতপার পরিবারের দাবি, ফাঁসি দেওয়া হোক ওকে।
বহরমপুরে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অতিরিক্ত এবং জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষকুমার পাঠকের এজলাসে চলছে সুতপা হত্যাকাণ্ডের শুনানি। এই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী তো বটেই, চিকিৎসক, সাংবাদিক, ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে। মোট ১২ জন সাক্ষী দেন৷ পাশাপাশি অনলাইন বিপণীর বেসরকারি সংস্থার কর্ণধারকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এই খুনের ঘটনা ‘বিরলতম’ বলে দাবি জানিয়ে অভিযুক্ত যুবকের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়।
সাক্ষীরা ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি আদালতে বলেন, “আমরা চাই বহরমপুরে যাতে আর কখনও এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। প্রশাসন নারী সুরক্ষার বিষয়ে জোর দিক৷’’ গত বছর ২মে শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন সুতপা। সিসি ক্যামেরাতে দেখা যায় তাঁকে অনুসরণ করে এগিয়ে আসছে এক যুবক। পরে জানা যায়, সে সুতপারই প্রেমিক সুশান্ত। মেসের দরজার সামনে আচমকা সুতপার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এরপর ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ বসায় সুতপার শরীরে। এই নৃশংস ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়৷