করোনা রুখতে ভ্যাকসিনের বিকল্প হতে এই পণ্যের ব্যবহার, মত বিশেষজ্ঞদের

সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনে'র গবেষকরা রকতি সমীক্ষার মাধ্যমে জানিয়েছেন, মাস্ক ব্যবহার করলে করোনাকে আটকানো যাবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসাবে মাস্কই একমাত্র উপায় করোনা ভাইরাস দমনে। করোনা ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে থেকে মানসিক সমস্যার স্বীকার না হয়ে মাস্ক পরে বাইরে বেরোলে কোনও অসুবিধা নেই বলেই মত গবেষকদের। তবে সেক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরাটা জরুরি।

 

লন্ডন: সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের গবেষকরা সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছেন, মাস্ক ব্যবহার করলে করোনাকে আটকানো যাবে৷ সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসাবে মাস্কই একমাত্র উপায় করোনা ভাইরাস দমনে। করোনা ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে থেকে মানসিক সমস্যার স্বীকার না হয়ে মাস্ক পরে বাইরে বেরোলে কোনও অসুবিধা নেই বলে মত গবেষকদের। তবে সেক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরাটা জরুরি।

এই মতামত পেশ করার সময় জাপান ও আর্জেন্টিনার উপকূলে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি জাহাজের যাত্রীদের কথা উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়েছে। দেখা গিয়েছিল ডিসেম্বরের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর পরই মোট ৩৭০০ জন যাত্রী নিয়ে ডায়মণ্ড প্রিন্সেস নামক জাহাজটি জাপানের উপকুলে এসেছিল। ওই জাহাজের মধ্যে থাকা যাত্রীদের ৭০০ জন করোনা ভাইরাসের স্বীকার হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ ছিলেন উপসর্গহীন। তারা কেউই মাস্ক পরেছিলেন না। তখন মাস্ক পরা ব্যপারটি বাধ্যতা মূলক বলে ঘোষণা করা হয়নি।

কিন্তু অন্যদিকে আর্জেন্টিনার উপকূলে আসা জাহাজটির চালক, কর্মী, যাত্রী সকলেই সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন ৯৫ মাস্ক পরিধান করেছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন করোনা সংক্রমিত হন। কিন্তু তাদের মধ্যে ৮১ শতাংশই উপসর্গহীন। এর থেকেই বিশেষজ্ঞরা দাবী করছেন, সামগ্রিক ভাবে মাস্ক সবাই পরলে করোনা সংক্রমণ ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনা যাবে। জনঘনত্বপূর্ণ দেশ গুলিতে মাস্ক এর ব্যবহার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে করোনা রোখার লড়াই অনেকটাই নেমে আসবে। ইংল্যান্ড জার্নাল ওফ মেডিসিন এ এই সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সম্প্রতি।

এ ব্যাপারে সরকারের কাছে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস কারী মানুষের কাছে বিনামূল্যে সার্জিক্যাল মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মাস্ক তৈরী ও বিক্রির ক্ষেত্রে জিএসটি ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চললে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ লক্ষ পর্যন্ত কমানো যাবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। পাশাপাশি তেলেঙ্গানায় সম্প্রতি ২০০ জন করোনা রোগীকে নিয়ে একটি পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের দেহরস থেকেই মূলত এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + one =