মুছে যাক নারী-পুরুষ লিঙ্গ বৈষম্য! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

মুছে যাক নারী-পুরুষ লিঙ্গ বৈষম্য! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: পুরুষ নৌসেনা অফিসারদের সমকক্ষ মহিলা অফিসাররাও৷ লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে মঙ্গলবার ঐতিহাসিক রায় দিল শীর্ষ আদালত৷ ভারতীয় নৌসেনার মহিলা আধিকারিকদের জন্যে স্থায়ী কমিশনের দাবি মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের এই রায়ে জয়ের হাসি মহিলা নৌসেনা অফিসারদের মুখে৷

এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘পুরুষদের মতোই মহিলা ক্যাডেটরাও নিজেদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম৷ পুরুষদের মতোই সমান দক্ষতায় যুদ্ধ জাহাজ চালাতে সক্ষম মহিলা অফিসাররাও৷’’ আগামী তিন মাসের মধ্যে নৌবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন গঠন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ নৌবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন গঠন করতে না দেওয়া বিচারব্যবস্থার গুরুতর অপপ্রয়োগ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়৷ তিনি বলেন, নৌবাহিনীতে মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার পর তাঁদের স্থায়ী কমিশন গঠন করতে না দেওয়া লিঙ্গ বৈষম্যের সামিল৷

সরকারের তরফে এর আগে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছিল যে মহিলা নৌ আধিকারিকরাও দেশের যুদ্ধজাহাজগুলিতে কাজ করতে সক্ষম। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন জানায়, যে মহিলা নৌ-কর্মীরা নিরন্তর দেশ তথা জাতির সেবা করছেন তাঁদের জন্যে স্থায়ী কমিশন গঠন না করা হলে অন্যায় করা হবে।

‘পার্মানেন্ট কমিশন’ বা স্থায়ী পদের মানে হল অবসর নেওয়ার নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত পুরুষ সহকর্মীদের মতোই পদে বহাল থাকবেন মহিলারাও। বর্তমানে নৌসেনায় ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’-এর আওতায় সব মিলিয়ে ১৪ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন মহিলা আধিকারিকরা। পার্মানেন্ট কমিশনে যাওয়ার পরে কমান্ডিং অফিসারের পদ পাওয়া থেকে মহিলাদের যেন বাদ দেওয়া না হয়, সেটাও সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =