কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলার শুনানি প্রত্যাহার৷ শীর্ষ আদালত থেকে এই মামলা প্রত্যাহার হয়ে ফিরে আসছে কলকাতা হাইকোর্টেই৷ সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিল সিবিআই৷ ফলে নারদ মামলা চলে আসছে ফের হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই৷ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ কিন্তু সেখানে বড়সড় ধাক্কা খেতে হল তাদের৷ নিজেরাই মামলা প্রত্যাহার করে নিল সিবিআই৷
আরও পড়ুন- ‘যশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুত মাস্টার প্ল্যান, কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
নারদ মামলায় গ্রেফতার চার হেভিওয়েট নেতামন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই৷ আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর নারদ মামলায় কী ভাবে এই তার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কী ভাবে জামিন হয়েছিল, সব বিষয়ে জানতে চান বিচারপতি৷ অন্যদিকে প্রথম থেকে ঘটনাক্রম ব্যাখ্যা করেন তুষার মেহতা৷ কী ভাবে সিবিআই অফিসারদের উপর চাপ তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানান সিবিআই পক্ষের আইনজীবী৷ এমনকী পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে পাঠানোর দাবিও তোলেন তিনি৷ তবে এই বিষয়েও সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-এর পাশে দাঁড়ায়নি৷ সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, আপনারা কি এই মামলা প্রত্যাহার করবেন? নাকি কোনও অর্ডার পাশ করতে হবে? এর পরেই আলোচনার জন্য কিছুটা সময় চান সিবিআই পক্ষের আইনজীবী৷ পরে মামলা প্রত্যাহার করে নেন তিনি৷ ফলে কলকাতা হাইকোর্টেই নারদ মামলার শুনানি হবে৷
তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রায় দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আসার পথ খোলা থাকবে৷ সিবিআই বা অভিযুক্ত পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আসতে চাইলে আসতে পারবেন৷ যদিও সিবিআই পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতার যুক্ত ছিল, যে ভাবে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে তাতে তাঁদের আপত্তি রয়েছে৷ তিনি আরও জানান, এই চার নেতাকে গ্রেফতারের দিন বহু মানুষ নিজাম প্যালেসের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন৷ আদালতের বাইরেও মানুষ ভিড় ছিল৷ সেখানে পাথর ছোড়া হয়েছে৷ এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে এসে ধরনা দিয়েছিলেন৷ আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী আইন ভাঙলে তার জন্য অভিযুক্তদের হয়রানি করা হবে কেন?