সুপ্রিম কোর্টে গুরুত্ব পেলে না কাফিল খানের মামলা! ফেরত গেল নিম্ন আদালতে

তিনবছর আগে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুবিভাগের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। যদিও ধোপে টেকেনি উত্তরপ্রদেশ সরকারের সেই অভিযোগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিলে 'আপত্তিকর' স্লোগানের জেরেও সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছিল ডাক্তার কাফিল খানকে। সূত্রের খবর, সেই মামলাটি নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

দিল্লি: তিনবছর আগে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুবিভাগের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। যদিও ধোপে টেকেনি উত্তরপ্রদেশ সরকারের সেই অভিযোগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিলে 'আপত্তিকর' স্লোগানের জেরেও সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছিল ডাক্তার কাফিল খানকে। সূত্রের খবর, সেই মামলাটি নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উপস্থিত থেকে 'আপত্তিকর' মন্তব্য করেছিলেন কাফিল খান। এমনই অভিযোগ উঠেছিল। তারই জেরে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় এফআরআই করা হয়েছিল। সেই কারণেই গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন সম্প্রতি শুনানি এবং কাফিলের জরুরি মুক্তির আবেদন জানানো হয়েছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে মামলাটিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছিল শিশুমৃত্যুর ঘটনা। সেই সময় শিশুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক কাফিল খান। তৎপরতার সঙ্গে অন্য হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন আনিয়েছিলেন তিনি। তবুও তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি করে ব্যবসা চালান কাফিল, এমনই বলা হয় অভিযোগকারীদের তরফে। সেই কারণে ৬০টিরও বেশি শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কাফিলকে দায়ী করে যোগী সরকার। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তবে সেই সময় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তকারী আধিকারিক হিমাংশু কুমারের পেশ করা একটি রিপোর্ট অনুসারে দাবি করা হয়, কাফিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে। এবার সিএএ বিরোধী মিছিলে কাফিলের মন্তব্যের জেরে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বলেই অভিযোগ যোগী সরকারের। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই ধরনের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করেও তৈরি হয়েছে জল্পনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =