নতুন দিল্লি: জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট) নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চলছে ব্যাপক টানাপোড়েন। অতিমারি এবং লকডাউনের জন্য এর মধ্যে বার দুই পেছতে হয়েছে এই দুই পরীক্ষা। কিন্তু আর দেরি করতে রাজি ছিল না কেন্দ্র সরকার ফলে পড়ুয়াদের একাংশের আপত্তি সত্ত্বেও পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়ে অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করা হয়। ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে সেই পরীক্ষা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবে ৬ সেপ্টেম্বর এবং ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলেছে ডাক্তারির পরীক্ষা।
পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও হাল ছাড়তে রাজি হননি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। পরীক্ষা চাইলে যাওয়ার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। সেই মর্মেই আগামিকাল (৪ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আদালতে বিরোধী পক্ষের আবেদন শোনা হবে বলে খবর। সুপ্রিম কোর্ট এর আগে জানিয়েছিল, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে কোনও আপস করা হবে না, ফলে পরীক্ষা বাতিলের আবেদন খারিজও করে দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীরা ক্রমাগত এই অতিমারির পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হোওয়ার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে চলেছেন।
একেই সংক্রমণের ভয়, তার ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব একটা সুবিধেজনক অবস্থায় নেই বলে মত বিরোধী পক্ষের। কথাটা সম্পূর্ণ অমূলক নয় তা এ বছরের পরীক্ষার হাজিরা দেখলেই বোঝা যাবে। অন্যবার যেখানে প্রায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি দেখা যায় এবার সেখানে কোথাও ৮০ শতাংশ কোথাও ৭০ শতাংশ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সুনিশ্চিত করা আমাদেরই দায়িত্ব।’ আপাতত, আগামিকাল শীর্ষ আদালতের ওপরেই থাকবে সবার নজর। পরীক্ষা চলবে নাকি, ফের স্থগিত রাখা হবে তা জানা যাবে কালকেই।