ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা? ভয় দেখাচ্ছে BSF? কর্তা বার্তা সুনীল অরোরার

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা? ভয় দেখাচ্ছে BSF? কর্তা বার্তা সুনীল অরোরার

f1a253a464d0bd01cab0c53e55886b73

 

কলকাতা: ধোপে টিকল না ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ৷ তৃণমূল ও বিজেপির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করলেন কেন্দ্রিয় নির্বাচন কমিশন সুনীল অরোরার৷ অভিযোগ খারিজ হলেও আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে শাসক দলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সতর্ক করেছে কমিশন৷ 

সীমান্তের গ্রামে গ্রামে বিএসএফ বিরুদ্ধে ভয় দেখানো অভিযোগ করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের তরফে এহেন অভিযোগের পর কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফে৷ নির্বাচন কমিশনের তরফেও দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷  অন্যদিকে, বিজেপির তরফে ভোটার তালিকা নিয়ে তোলা হয় গুরুতর অভিযোগ৷ ভোটার তালিকায় ৫ লক্ষ রহিঙ্গার নাম আছে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ৷ বাম-কংগ্রেসের তরফে ভোটার তালিকা সংশোধনেরও দাবি তোলা হয়৷ কিন্তু, সেই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে কমিশন৷ ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সুনীল অরোরার জানান, কোনও রিভিউ হবে না ভোটার তালিকা৷ প্রকাশিত তালিকায় হবে নির্বাচন৷

অন্যদিকে আজ নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার ভোট চলাকালীন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কোনোরকম সিভিক, গ্রিন পুলিশ বা বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীকে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া পুলিশ অবজারভার এবং পোলিং অবজারভার আলাদা ভাবে নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা। এদিন তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথগুলি যাতে এক তলায় করা যায় সে বিষয়ে আমি ডিএম ও এসপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলায় অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যা যা করার দরকার তা করতে নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ।’’

ভোট চলাকালীন যাতে বাহুবল প্রদর্শন করে রাজ্যের কোনো প্রান্তে অশান্তি সৃষ্টি করা না যায়, সে বিষয়েই কড়া নজর রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সুনীল আরোরার কথায়, ‘‘পেশী শক্তি এবং টাকার জোরে যাতে নির্বাচন কোনো বাধার সৃষ্টি করা না যায় তা নিশ্চিত করবে কমিশন।’’ এছাড়া রাজ্য পুলিশও নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, অসম, ত্রিপুরা, এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই একই নিয়ম বলবৎ থাকবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দীর্ঘ দিন থেকেই আইনশৃঙ্খলা তথা নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া আয়োজনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে বিরোধী দলগুলি। এই মর্মে রাজ্যপালের কাছেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলে এই আবহে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *