sukanta
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির অস্ত্র এবার ‘ক্যাগ’ রিপোর্ট। এই অস্ত্রের সাহায্যেই তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে চায় রাজ্য বিজেপি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসতে চলেছেন, তখন পাল্টা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বেশ গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘ক্যাগ’ রিপোর্ট তুলে ধরে সুকান্তের অভিযোগ, দু’লক্ষ কোটি টাকার কোনও হিসাবই দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সেখানে সুকান্ত বলেন, “১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই টাকা কোথায় গেল? পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে, ক্যাগ রিপোর্টে সেটির উল্লেখ করা হয়েছে। এটা দুর্নীতির নতুন পন্থা। সাধারণের টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে সেটা কেউ জানেন না।” বঙ্গ বিজেপি সভাপতির আরও দাবি,”প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে যে কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) দিতে হয়। এতে বোঝা যায় টাকা যে খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজেই খরচ হয়েছে। অথচ ক্যাগ রিপোর্ট বলছে ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউসি জমা দেওয়া হয়নি।” এই বিষয়টি নিয়ে পাল্টা রাজ্য বিজেপি ধর্নায় বসবে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। সুকান্তের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল সরকার সমস্যা মেটাতে চায় না। তিনি বলেন,”কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তখন ঠিক হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দু’জন করে আধিকারিককে ঠিক করবেন, যারা গোটা বিষয়টি দেখবেন। আমরা দু’জন আধিকারিক ঠিক করলেও তৃণমূল সরকার এখনও আধিকারিকদের নাম জানায়নি। তাই সমাধানের রাস্তা কোথায় সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।”
বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই বিরোধীরা আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূলকে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে ফের পথে নামছে। এর আগে এই ইস্যুতে দিল্লি গিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পথে নামাটা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তৃণমূলকে ফাঁকা জমি ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তাই তারা ‘ক্যাগ’ রিপোর্ট তুলে ধরে পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করল তৃণমূলকে।