কলকাতা: এবার মেজাজ হারালেন শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’৷ টানলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং মুকেশ অম্বানীর প্রসঙ্গ৷ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কেন তাঁর বেলাতেই সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?
শনিবার রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কালীঘাটের কাকুকে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ৷ জানাতে চাওয়া হয়, তাঁর ৬টি সংস্থায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা সত্যি কিনা৷ প্রশ্ন শুনেই ক্ষেপে যান সুজয়কৃষ্ণ। চোখে-মুখে একরাশ বিরক্তি৷ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘‘আমার বিনিয়োগ তো আপনার কী?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ২০০ কোটি (টাকা) থাকতে পারে। তাতে ইডির কী? লোকের কি টাকা নেই? অম্বানী-আদানির কি টাকা নেই?” কিন্তু, ৬টি সংস্থায় বিনিয়োগ করা অর্থের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা আছে কি? প্রশ্ন শুনে কালীঘাটের কাকু বলেন, “কোনও নেই। কোনও নেই। ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। সব ডকুমেন্টস (তথ্য) দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল। তাঁর মুখেই প্রথম শোনা যায় ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম৷ ঘটনাপ্রবাহে নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম আসে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও উঠে আসে এই ‘কাকু’র নাম৷ এর পর থেকেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় ছিলেন একদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র৷