বুকে পেসমেকার! এসএসকেএমের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি কালীঘাটের কাকু

বুকে পেসমেকার! এসএসকেএমের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি কালীঘাটের কাকু

কলকাতা: প্যারল শেষে জেলে ফিরতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র৷ বমি শুরু হয় তাঁর৷ জেলের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুর বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। বুকে ব্যথা নিয়েই সোমবার দুপুরে এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে যান তিনি। তবে শারীরিক পরীক্ষায় পর কাকুর হৃদরোগজনিত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি বলেই এস‌এসকেএম সূত্রে খবর। এর পর মেডিসিনের তত্ত্বাবধানে কাকুকে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিহাইড্রেশন এবং রক্তচাপজনিত কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব৷ 

এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে একজন রোগীকে কতক্ষণ রাখা যায়, তা নিয়ে এস‌এসকেএমের নিজস্ব এসওপি  আছে। তাতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি বিভাগ থেকে রোগীর অসুখ নির্ণয়ের পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার কথা বলা রয়েছে। কালীঘাটের কাকুর ক্ষেত্রে এস‌এসকেএম কর্তৃপক্ষ সেই এস‌ওপিকে কতটা মান্যতা দেবে সেটাই এখন দেখার৷ 

গত মাসেই প্রয়াত হন সুজয়ের স্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী বানী ভদ্রের। এরপরই জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ। যদিও আদালত তাঁকে জামিন দেয়নি। তবে স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সংশোধনাগারের তরফে তাঁকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই প্যারলের মেয়াদ শেষ হয়। ১৭ তারিখ সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল তাঁর। পথেই অসুস্থ বোধ করেন৷ অবশেষে সংশোধনাগার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =