কলকাতা: একুশের নির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর মতুয়াদের নাগরিকত্ব দান৷ বারবার তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও তা কার্যকর করে উঠতে পারেনি বিজেপি সরকার৷ এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটে অন্তত ৩০টি কেন্দ্রে মতুয়া প্রার্থী দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ কিন্তু সেই আর্জিও শোনা হয়নি৷ সোমবার পর্যন্ত ২৮২টি আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনও মতুয়া সদস্যের নাম ছিল না৷ এর পর কার্যত মতুয়া সঙ্ঘের তরফে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়৷ যার পরেই মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি৷ প্রার্থী করা হল মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুরকে।
আরও পড়ুন- পদত্যাগ করছেন না কেন! শিশিরের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি তৃণমূলের
সুব্রত ঠাকুর শান্তনু ঠাকুরের ভাই ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় ছেলে। এবার গাইঘাঁটা কেন্দ্র থেকে তাঁকেই প্রার্থী করল বিজেপি৷ ফলে এবার ভোটে কোন সমীকরণ কাজ করবে, সেই উত্তর মিলবে ২ মে৷ প্রসঙ্গত, মতুয়াদের নাগরিকত্ব না দেওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই দলে বেসুরো ছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ নাগরিকত্বের ঘেরাটোপে মতুয়া ভোট রাজনীতিতে প্যাঁচে পড়ার জোগাড় হয়েছে বিজেপি’র৷ এর উপর মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকে প্রার্থী না করার সেই ক্ষোভ আরও বড়ছিল৷ মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবারের ভোটে জয় নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের আর কোনও দায় রইল না৷ এর পরেই কার্যত শান্তনু-মঞ্জুলকৃষ্ণের দরবারে ছুটে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ তাঁদের সঙ্গে বৈঠকেই সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ গত লোকসভা ভোটের নিরিখে বিতার করলে গাইঘাটা আসনে ৩৫ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি৷
আরও পড়ুন- অসম ত্রিপুরার উদাহরণ দিয়ে বিজেপির ইস্তেহারের পর্দা ফাঁস করলেন মমতা
আরও একটি সমীকরণ রয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়কে ঘিরে৷ এবার মতুয়াগড়ে একটা প্রচ্ছন্ন দাবি উঠেছিল মমতাবালাকে প্রার্থী করা নিয়ে৷ কিন্তু তৃণমূল এবার ঠাকুরবাড়ির কাউকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মতুয়াদের এই ক্ষোভকেও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি৷ লোকসভা ভোটে এগিয়ে থাকা আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে মতুয়াদের ক্ষোভকে হাতিয়ার করে বিজেপি’র পালে হাওয়া টানার কৌশল নিল গেরুয়া দল৷ ২২ এপ্রিল গাইঘাট কেন্দ্রে বন্দি হবে সুব্রতর ভাগ্য৷