কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া থমকে থাকা নিয়ে যে খুব একটা সন্তুষ্ট নন তিনি, এদিন তাও খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন তরুণ নেতা। বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর এই ত্রিফলা জোটের শক্তি ঠিক কতটা? এবার তারই হিসেব কষতে বসল তৃণমূল কংগ্রেস।
সিপিএমের ভোট বাড়ুক, সেটাই চায় তৃণমূল, এদিন ব্রিগেড পরবর্তী আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ঘাসফুল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু রবিবাসরীয় ব্রিগেড মঞ্চে আব্বাস সিদ্দিকীর ভাষণের পর ভোট পূর্ববর্তী বাংলায় বামেদের জোট ভবিষ্যৎ আরো অন্ধকার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন তিনি। আর তাতে শাসকদল যে খুশি নয়, তাও জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তো চাই সিপিএমের ভোট বাড়ুক। গত নির্বাচনে বিজেপির কাছে সিপিএমের যে ভোট গুলো চলে গেছে, সেটা তারা ফিরে পাক।” সিপিএমের সমর্থকরা যদি তাঁদের দলকেই ভোট দেন, তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন তেমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু আজকের ব্রিগেডে আব্বাস সিদ্দিকীর উপস্থিতি জোট ভবিষ্যতে কালি লাগিয়েছে বলেই মনে করেছেন তিনি।
বস্তুত, এদিন ব্রিগেড মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী সমঝোতার জন্য ধন্যবাদ জানান বাম নেতৃত্বকে। বামেদের তরফে ৩০টি আসন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেই সঙ্গে এখনও জোট শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকী। কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে নাম না করে তাঁর বার্তা, “যদি কেউ সমঝোতা করতে চান তাহলে বন্ধুত্বের রাস্তা খোলা আছে, আগামী দিনে আব্বাস তাঁদের হয়েও গলা ফাটাবে।” সবার সামনে রাখঢাক না করেই কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের এই ইঙ্গিত চিন্তায় ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেও। কারণ বাংলার ভোটে জোটের দিকেও নজর রয়েছে ঘাসফুলের।