জুরিখ: করোনার দ্বিতীয় ইনিংসের জেরে যখন নাজেহাল বিশ্ববাসী, তখন তার সুফল পেতে মরিয়া স্কুল পড়ুয়ারা! এবার স্কুল কামাই করতে কোভিড ১৯-এর নকল সার্টিফিকেট পেশ করল ছাত্ররা। সুইৎজারল্যান্ডের বাসেলের তিন ছাত্র এই ঘটনাটি ঘটায়৷ যার কারণে গোটা ক্লাসের ছাত্রদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সুইৎজারল্যান্ডের এক সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, বাসেলের ক্রিসগার্টেন হাইস্কুলের তিনজন ছাত্র ফন্দি এঁটে জাল করোনা পজিটিভ সার্টিফিকেট বের করে। যার জেরে ওই ক্লাসের ২৫ জন ছাত্রকে ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় । স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। তবে ছাত্রদের এই কাণ্ডকে শিশুসুলভ আচরণ বলে উড়িয়ে দিতে নারাজ স্কুল কর্তপক্ষ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বাসেলের এই শিক্ষা দফতরের মুখপাত্র সাইমন থিরিয়েট সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এটা মোটেও কোনও শিশুসুলভ আচরণ নয়, এটি একটি গুরুতর ঘটনা৷’ তিনি আরও বলেন, করোনা নামক অতিমারির জন্য ছাত্ররা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যেই রয়েছে৷ তবে তার মানে এই নয় যা তিন ছাত্র ঘটিয়েছে৷ স্কুলে জাল নথি পেশ করায় ওই তিন অভিযুক্ত ছাত্রের বিরদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জেস আনা হবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ যদিও তার মানে এই নয় যে, তাদের স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হবে৷
পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার জন্য ছোটবেলায় নানারকম বুদ্ধি বের করায় খুদেদের জুড়ি মেলা ভার। কখনও শরীর খারাপের অজুহাত, কখনও বা অন্য কোনও উপায় খুঁজে বের করা। কিছুদিন আগে একটি খবরে প্রকাশিত হয়, অনলাইন ক্লাস কামাই করতে এক খুদে পড়ুয়া এমন বুদ্ধি খাটিয়েছিল, যা ধরতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন বাবা-মা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। অনলাইন ক্লাসের পাসওয়ার্ড বারবার ভুল প্রয়োগ করে সে এমন করে রেখেছিল যে তার সিস্টেম থেকে অনলাইন ক্লাসে লগ-ইন করা সম্ভব হচ্ছিল না।