নয়াদিল্লি: বেশ কিছুদিন ধরেই দেশ জুড়ে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গত দু’সপ্তাহ ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লাগাতার বেড়েই চলেছে। এমনকি দেশের কিছু কিছু বড় শহরে পেট্রোল হাঁকিয়েছে সেঞ্চুরিও। এহেন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন।
পেট্রোল ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আলোচনায় বসা উচিত কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। তিনি মনে করেন, একমাত্র দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনার মাধ্যমেই মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম লাগানো সম্ভব হবে। দাম না কমলে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ কমবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে বৈঠকে বসার আর্জিও জানিয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা খুবই বিড়ম্বনাপূর্ণ একটা বিষয় যেখানে মূল্যহ্রাস ছাড়া আর কোনো উত্তরই জনতাকে সন্তুষ্ট করবে না। গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম নামিয়ে আনার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে।” বস্তুত, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দাম অনুযায়ী ভারতেও পেট্রোল ডিজেলের দাম ওঠা নামা করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে রোজ এই দাম বেড়ে চলেছে, তাতে জ্বালানি তেল যে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সরকারের কপালেও তা বলাই বাহুল্য।
এ প্রসঙ্গে পেট্রোল ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় সরকার প্রযুক্ত করের পরিমাণের দিকেই আঙুল তুলেছেন কেউ কেউ। কর মকুবের বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে থাকলেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে গর্জে উঠেছেন বিরোধীরা। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বাল মালকিৎ সিং বলেছেন, “কেন্দ্র সরকারের উচিত অবিলম্বে বিবৃতি জারি করে কর হ্রাসের ব্যবস্থা করা।” এখানেই শেষ নয়, কর হ্রাসের জন্য কেন্দ্রকে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সংস্থা। দাবি পূরণ না করলে গোটা দেশ জুড়ে যাতায়াত ব্যবস্থাই থমকে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।