কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রাজনীতির আঙিনার বাইরেও জারি কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের আবহ। পশ্চিমবঙ্গে কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে ইদানিং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পড়ার মতো। তার মাঝেই এবার কয়লা থেকে সংগৃহীত রাজস্বের পরিমাণ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্টের বিরোধিতা করল রাজ্য সরকারি কমিটি।
বাংলা থেকে কয়লার জন্য যে পদ্ধতিতে রাজস্ব সংগ্রহ করা হয় তা সঠিক নয়, বেশ কয়েকবছর আগে এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্র সরকারের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (CAG) রিপোর্ট। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের সেই রিপোর্টের উল্টো সুরই শোনা গেল রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) রিপোর্টে। পিএসির তরফ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কয়লা রাজস্ব নীতিতে কোনো গলদ নেই। অন্য রাজ্যের তুলনায় কম রাজস্ব সংগ্রহের দাবিকেও নস্যাৎ করে দিয়েছে এই রিপোর্ট। বলা হয়েছে, এ রাজ্যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে তা একেবারে সঠিক। ভোটের আগে ক্যাগের রিপোর্টের এই বিরোধিতা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
জানা গেছে, বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার নেতৃত্বে গঠিত পিএসি এদিন এই রিপোর্ট পেশ করেছে। ২০১১-১২ সালে ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে অনুসৃত কয়লা রাজস্ব নীতিতে রাজ্যেরই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে সুখবিলাস বর্মা জানিয়েছেন, ক্যাগ রিপোর্ট ঠিক নয় বলে মনে করে পিএসি। কেন্দ্রীয় অডিট রিপোর্টের ওই অংশ বাদ দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, কয়লার রয়্যালটি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত জারি ছিল বাম আমলেও। অন্যান্য কয়লা উৎপাদক রাজ্যের তুলনায় বাংলা রয়্যালটি অনেক কম পায় বলেই অভিযোগ। অন্য রাজ্য যেখানে কয়লার দামের উপর ১৪ শতাংশ হারে রয়্যালটি পায়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গকে প্রতি টনের উপর গুণগত মান অনুযায়ী আড়াই থেকে সাড়ে ৬ টাকা রয়্যালটি দেওয়া হয়।