কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে খবরের শীর্ষে থাকতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শাসক দল এবং শক্তিশালী বিরোধী দলের শীর্ষনেতৃত্ব খবরের শিরোনামে থাকবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু প্রায় বছরখানেক ধরে সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ‘আলো’ করে আছেন এমন এক ব্যক্তি যাঁর রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকার কথা নয়। তবু বিভিন্ন ইস্যুতে মমতার সরকারের সমালোচনা, কটাক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন বিরোধিতা করে আলোচনায় আছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গুরুদায়িত্বে বাম-কংগ্রেসের ঋতব্রত-ওমপ্রকাশ! প্রাক্তন তৃণমূলীরাও এখন ‘বিশুদ্ধ বিজেপি’
শাসক দল তাঁকে কেন্দ্রের ধামাধারী বলে দাগিয়ে দিয়েছে বহু আগেই। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের এই টানাপোড়েনের সম্পর্ক কোনওদিন জোড়া লাগবে সে আশা করাও সমীচিন নয়। তবু কিছুদিন শান্ত ছিলেন তিনি, কিন্তু আর চুপ থাকতে না পেরে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। মাননীয় রাজ্যপাল বললেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ শাসক দলের কর্মী হিসেবে কাজ করছে! সোশ্যাল সাইট টুইটারে তিনি এক ভিডিও বার্তায় বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, ‘রাজ্যের পুলিশ শাসক দলের কর্মী হিসেবে কাজ করছে। বিরোধী বিধায়ক এবং সাংসদদের নিশানা করছে তারা। রাজ্যপাল হিসেবে এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অধঃপতনে আমি অত্যন্ত চিন্তিত।’
আরও পড়ুন: ২১-এর নির্বাচনে মেরুকরণ! NRC-র কথা তুলে নিজেই বুঝিয়ে দিলেন মমতা!
রাজ্যপাল আরও বলেছেন, জন প্রতিনিধি এবং বিরোধী নেতাদের সর্বসমক্ষ থেকে যেন শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। রাজ্যসভা এবং বিধানসভার সদস্যরাও ছাড় পাচ্ছেন না। এরপর তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি সময় করে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য। আমরা এমন পুলিশ বাহিনী চাই না যারা আইন শৃঙ্খলা না মেনে শুধু শাসক দলের কর্মীদের মতো বিভেদমূলক আচরণ করবে।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা। বেশ কিছু বিজেপি নেতাই অভিযোগ করেছেন, করোনা এবং আমফানের সময়ে তাঁদের ত্রাণ বিলি করা থেকে আটকেছে পুলিশ। এ মাসের গোড়াতেই এক বিজেপি বিধায়ককে তাঁর বাড়ির বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা মনে হলেও বিজেপির দাবি খুন করা হয়েছে তাঁকে।