কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা জোড়া মমলার শুনানি ছিল সোমবার৷ পঞ্চায়েত ভোটের দিন পিছনোর পরামর্শ দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ৷ যার বিরোধিতা করেন রাজ্যের কৌঁসুলী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৯ জুন কোন দলের কত মনোনয়ন জমা পড়েছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে তিনি বলেন, ‘‘৪ হাজারের বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে বিজেপি’র। সময় কম হলে কী করে এত মনোনয়ন জমা পড়ল?’’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে কল্যাণ আরও বলেন, ‘‘ভারত গণতন্ত্রের মহা সমুদ্র। সেখানে কমিশনের কাজ নিয়ে কোনও অভিযোগ হয় না। এই অবস্থায় ভোটের দিন পিছনোর কী কারণ থাকতে পারে?’’
বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বা মনোনয়ন দিতে পারেননি এমন উদাহরণ নেই বলেও উল্লেখ করেন কল্যাণ৷ ২০ হাজার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কল্যাণ বলেন, ‘‘ওরা বলছে ২০ হাজার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করতে। অথচ আজ পর্যন্ত একটি মামলাও দায়ের হয়নি। কেন ধর্মাবতার? শুধু ২০ হাজার, ২০ হাজার বলে চিৎকার করলে হবে! ওরা শুধু সব এনার্জি জমিয়ে রেখেছে আদালতের জন্য।’’
মনোনয়নের সময় নিয়েও প্রধান বিচারপতির এজলাসে বাদানুবাদ চলছে। কল্যাণ বললেন, গত বার ২ এপ্রিল ভোটের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কমিশন । ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন জনা দেওয়ার দিন ছিল। তখনও ৭ দিন সময় ছিল। জবাবে প্রধান বিচারপতি বললেন, এ বার ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ধার্য হলেও ১১ জুন ছিল ছুটির দিন৷ ফলে ওই দিন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>