কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনায় হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের বহু বুথেই ঠিক পদ্ধতি মেনে ভোটগ্রহণ হয়নি। কোথাও দেদার ছাপ্পা চলেছে, কোথাও ব্যালট বাক্স ভাঙা হয়েছে। সেইসব বুথগুলিতেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছিল। কমিশন ইতিমধ্যেই ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন করালেও তাতে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। বিজেপির দাবি,৫ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচন করাতে হবে৷ নির্বাচন কমিশেন চিঠি দিয়ে সে কথা জানানোও হয়েছে৷ বিজেপির দেওয়া সেই বুথের তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে জেলাশাসকদের চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজীব সিনহা৷
গত ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই পরের দিন নির্বাচন কমিশনকে ইমেল পাঠানো হয় বিজেপি’র তরফে। সেখানে রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে গেরুয়া শিবির। বুথের তালিকাও পাঠায় তারা৷ ওই বুথগুলির মধ্যে ক’টিতে পুনর্নির্বাচন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জেলাশাসকদের সুপারিশ করতে বলল কমিশন। তা বিষয়ে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে তাঁদের কাছে।
তবে শুধু বিজেপি নয়, অন্যান্য জায়গা থেকে অন্যান্য দলের তরফেও ভোট সংক্রান্ত বেশ কিছু হিংসার অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। সেই সব অভিযোগ ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বার তা যাচাই করে জেলাশাসকদের আলাদা একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলল কমিশন। বলা হয়েছে, যেসব বুথের উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বুথে পুনর্নির্বাচনের কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে একদিনের মধ্যেই কমিশনকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, স্ক্রুটিনি ও পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছে, এমন বুথ বাদে বাকি বুথগুলোতে কী কী অভিযোগ রয়েছে সেই অভিযোগের ভিত্তি আছে কিনা, পুনর্নির্বাচন করার প্রয়োজন কিনা, তা জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে গ্রাম বাংলায়। গত শনিবার, ভোটের দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি, ভোটলুঠ, গোলাগুলি চলেছে৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হিংসার ৫২ জন৷ ৮ জুলাই, ভোটের দিন মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনেক। ওই দিন সংঘর্ষে জখম আরও ৭ জনের পরে মৃত্যু হয় হাসপাতালে।