কলকাতা: ভোট নিরাপত্তায় রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ অমিত শাহের মন্ত্রকে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার হিসাব পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ভোট মিটলেও আদালতের নির্দেশে এখনও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ফলে, যে হিসাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে, তার পরেও আরও খরচ হবে। এখন বিরোধীদের প্রশ্ন দিন দশেক পরে পুরো খরচ কি একসঙ্গে পাঠানো যেত না?
সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর খাওয়া ও গাড়িঘোড়ার খরচ চেয়ে মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হবে। কিন্তু এর জন্য রাজ্যের থেকে খরচ চাইতে পারবে না কেন্দ্র। এদিকে, আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্যে কম করে প্রায় ৭০০ কোম্পানি বাহিনী এসেছে৷ এক-একটি কোম্পানিতে কমবেশি ১০০ জন করে থাকলে প্রায় ৭০ হাজার জওয়ান এখনও রাজ্যে রয়েছে। তাঁদের থাকা-খাওয়া থেকে গাড়ি ভাড়া বা তেল, ইত্যাদি নানা খাতে খরচ করতে হয়েছে৷ সেই খরচ বাবদই প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার হিসাব দেখিয়ে বিল পাঠানো হয়েছে মন্ত্রকের কাছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া বাবদ বিপুল টাকা আটকে থাকার অভিযোগ করে বরাবরই করে আসছে শাসকদল তৃণমূল। কিছু দিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লিখিত ভাবে জানায়, অতীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য প্রায় ১৮৫২ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে রাজ্য। জরিমানা সমেত ওই অর্থ চাওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যের দাবি ছিল, রাজ্য নিজে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। ফলে খরচের দায় রাজ্যের নয়৷