কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ৷ ভোট পর্ব মিটলেই ফের বেলাগাম হতে পারে করোনা পরিস্থিতি৷ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় আজ জরুরি বৈঠকে বসে রাজ্য৷ মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে সরকারি হাসপাতালের আধিকারিক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে করা হয় বৈঠক৷ করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হবে ছকে নেওয়া হয় সেই রূপরেখা৷
আরও পড়ুন- ভোটের প্রচারে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ! ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জবাব ফিরহাদের
ভোট পর্ব মেটার পরই শহর ও শহরতলীর করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে বলেও প্রবল আশঙ্কা৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আজ রবীন্দ্র সদনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকার্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব৷ শহর ও শহরতলীর ১৫টি সরকারি হাসপাতালের সুপার ও প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ আজকের বৈঠককে রিভিউ মিটিং বলা যেতে পারে৷ বর্তমানে যে ভাবে করোনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তাতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে সেই বিষয়েই মূলত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
এই বৈঠকে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কলকাতা ও শহরতলিতে ১ হাজার করোনা বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ শহর ও শহরতলীতে যে কয়টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে, তাতে যে করোনা বেড রয়েছে, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০০টি বেড বাড়ানো হবে৷ গতকাল ৩৫টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল৷ প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে নিজ নিজ পরিকাঠামো বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এছাড়াও শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নতুন করে ২২০টি বেড নিয়ে কোভিড ওয়ার্ড করা হবে৷ এমআর বাঙুর হাসাপাতে ইতিমধ্যেই ৭২০টি কোভিড বেড রয়েছে৷ সেখানেও দ্রুত কোভিডের বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও হাওড়ার বালটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে৷ সেখানেও এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০০ বেড বাড়ানো হবে৷ এদিকে চন্দননগরের পরিস্থিতিও ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে৷ সেখানে সরকারি হাসপাতালে ২৫০টি শয্যা বিশিষ্ট কোভিড ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি রাজারহাটের সিএনসিআই-তেও কোভিড বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- রামনবমীতে গন্ডগোল পাকাতে পারে বিজেপি! সন্দেহ করছেন মমতা
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই প্রস্তুতি সেরে ফেলা হবে৷ মেট্রোপলিটন এলাকাগুলিতে কোভিড অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠেছে৷ সেই নিরিখে আগাম প্রস্তুতি তাঁরা সেরে রাখছেন৷ এই ব্যবস্থা ভোটের পর করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা৷