কলকাতা: সুপ্রিম নির্দেশ মিলতেই তড়িঘড়ি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই জানিয়েছিল, ৯০৭ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এই ৯০৭ জন প্রার্থীর ওএমআর ও প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর গড়মিল রয়েছে। অর্থাৎ, এদের ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের নম্বরের কোনও মিল নেই। বুধবার সেই ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি৷
২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাড়ে ৫ হাজার জন প্রার্থীকে শিক্ষর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে পান গোয়েন্দারা৷ সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাঁরা জানান, ৯০৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন শিক্ষক পদে চাকরি করছেন।
সিবিআই-এর বক্তব্য শোনার পরেই ওই ৯০৭ জনের নামের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ৯০৭ জন শিক্ষকের একাংশ। তালিকা প্রকাশ আটকানোর জন্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা৷ শীর্ষ আদালত, ওএমআর শিট জনসমক্ষে না এনে মুখ বন্ধ খামে এজলাসে জমা করার জন্য বলেছিল। তবে নামের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি জানায়নি বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ। এই ৯০৭ জনের চাকরির ভবিষ্যত এখন কী, সেটাই দেখার৷