মাথাব্যথা হলে পুরো মাথাটাই কেটে ফেলা যুক্তিযুক্ত নয়, SSC মামলায় মন্তব্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

মাথাব্যথা হলে পুরো মাথাটাই কেটে ফেলা যুক্তিযুক্ত নয়, SSC মামলায় মন্তব্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

নয়াদিল্লি: ১৭ রকম দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে হাই কোর্ট৷ কলকাতা হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে রাজ্য, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ সুপ্রিম কোর্টে চলছে এসএসসি মামলার শুনানি৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, ‘‘হাই কোর্টের ওই রায়ের ভুগতে হচ্ছে ১৭-১৮ হাজার শিক্ষককে৷ যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হলে তাঁদের চাকরি রাখা হোক। মাথাব্যথা হচ্ছে বলে পুরো মাথাটাই কেটে দেব, এটা হতে পারে না!’’ সেই সঙ্গে পর্ষদের প্রশ্ন, ‘‘সবার চাকরি চলে গেলে এত শিক্ষক পাব কোথা থেকে? সিনিয়র শিক্ষকদের চাকরি চলে যাচ্ছে। এর পরে তো স্কুলগুলিতে প্রধানশিক্ষকও পাওয়া যাবে না।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SSC মামলা: কী ভাবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব? জানাল এসএসসি

SSC মামলা: কী ভাবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব? জানাল এসএসসি

নয়াদিল্লি: এসএসসি মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ প্যানেল বাতিল করার পিছনে আদালতের যুক্তি ছিল যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি৷ তবে এসএসসি জানাচ্ছে, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব৷ কী ভাবে, তা জানিয়ে দিল এসএসসি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এসএসসি জানায়, ‘‘সিবিআই যে তথ্য দিয়েছে, তার উপর ভরসা করা গেলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব। আমাদের সার্ভার থেকে যে সব ওএমআর ডাটা মিলছে না সেগুলিও আলাদা করা যাবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কেন তৈরি হয়েছিল সুপারনিউমেরিক পদ? রাজ্যের জবাব, আদালতকে বোকা বানাতে নয়

কেন তৈরি হয়েছিল সুপারনিউমেরিক পদ? রাজ্যের জবাব, আদালতকে বোকা বানাতে নয়

নয়াদিল্লি: এসএসসি মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল৷ যোগ্য-অযোগ্য নির্বিশেষে চাকরিহারা ২৫,৭৫৩ জন৷ তাঁদের ভাগ্য ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টে৷ এদিন শুনানি শুরু হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ২০২২ সালে কেন সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য?

জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আড়াই বছর পরে ২০২১ সালে মামলা দায়ের করা হয়। এসএসসি-তে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কেন আপনারা সুপারনিউমেরিক পদ তৈরি করতে চেয়েছিলেন? ফের জানতে চান বিচারপতি৷ তাঁর প্রশ্ন,  ২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। ২০২১ সালে মামলা। তার মানে আপনারা বলতে চাইছেন ৬ বছর পরে কোনও ওয়েট লিস্টেড প্রার্থী বেআইনি অভিযোগ তুলে চাকরি চাইতে পারবেন না?

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সুপারনিউমেরিক পদ তৈরির পিছনে রাজ্যের কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। বেআইনি নিয়োগ ঢাকতে এই পদ তৈরি করতে হয়নি। চাকরি বাতিলের ফলে ওয়েটিংলিস্ট থেকে নিয়োগ করার জন্যই সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত৷ নতুন করে ৬৮৬১ পদ তৈরি করা হয়েছিল। রাজ্যের দাবি, আদালতকে বোকা বানানোর জন্য সুপারনিউমেরিক পদ আনা হয়নি। রাজ্যের উদ্দেশ্য ছিল, চাকরি বাতিলের পর শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করতে। বেআইনি নিয়োগ আড়াল করার কোনও মতলব ছিল না৷ বেআইনি নিয়োগকে সুপারনিউমেরিক পদের জন্যে যুক্ত করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *