ভুয়ো শিক্ষক ধরতে পদক্ষেপ এসএসসি’র, স্কুলে স্কুলে যাচ্ছে নোটিস

ভুয়ো শিক্ষক ধরতে পদক্ষেপ এসএসসি’র, স্কুলে স্কুলে যাচ্ছে নোটিস

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নড়েচড়ে বসল স্কুল সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ এসএসসি। আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা শুরু করল তারা। এবার বিভিন্ন স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক ধরতে  পদক্ষেপ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এ বিষয়ে কিছু দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে এসএসসি। সেই সূত্রে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে নোটিস পাঠাচ্ছে শিক্ষা দফতর। মূলত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকের কাছে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। ডিআই-এর মাধ্যমে পাঠানো সেই নোটিস প্রধান শিক্ষকের হাত ঘুরে পৌঁছে যাবে চাকরি প্রাপকদের কাছে। এভাবেই ভুয়ো শিক্ষক ধরতে চায় এসএসসি।

ঘটনা হল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পদে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে, এই মর্মে চাকরিপ্রার্থীদের নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগেই সবাইকে নোটিস দিতে বলে আদালত। এর জন্যে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়।

২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশের সব শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীকে এ বিষয়ে নোটিস দিয়ে অবগত করার কথা বলা হয়। তাঁদের কেউ আদালতে আসতে চাইলে আসতে পারেন বলেও জানিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য এ বিষয়ে একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করবেন, যিনি হলফনামা দিয়ে জানাবেন যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা। এরপরই নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলগুলিতে কারা কারা চাকরি করছেন সেই সংক্রান্ত তালিকা তৈরি করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকরা। আর প্রধান শিক্ষকরা একটি বয়ানে স্বাক্ষর করবেন।

যেখানে বলা থাকবে, “এঁরা ছাড়া আমার স্কুলে আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নেই, যারা ২০১৬ সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে এসেছেন”। সমস্ত চাকরিপ্রাপকের  নাম চলতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যে স্কুলগুলির নোটিস বোর্ডে ঝুলবে। যদি কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে ১৪ তারিখের মধ্যে তাঁর বাড়িতে নোটিস পৌঁছে যাবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিআই-এর কাছে তা জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে। এরপর প্রত্যেকটি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নতুন করে রিপোর্ট তৈরি করবেন সংশ্লিষ্ট ডিআই। আর রিপোর্ট শিক্ষা দফতর ও এসএসসি-র কাছে জমা পড়বে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে। তাই আগামী দিনে বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *