চুঁচুড়া: হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে ঘাঁটি তার৷ তার নাম শুনে আতকে ওঠেন এলাকার লোকজন৷ মানুষের আস্থা ফেরাতে সেই টোটন বিশ্বাসের ডেয়ার তৈরি হল স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। কয়েকদিন আগেও চুঁচুড়ায় দাপিয়ে বেড়াত টোটন-বাহিনী। হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতি হিসাবে নাম রয়েছে তার৷ টোটনের এতটাই প্রতিপত্তি, যে তাঁকে সহজে ছুঁতে পারত না পুলিশও। কিন্তু, সেই টোটন এখন জেলবন্দি। তার এলাকা রবীন্দ্রনগরে স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই ক্যাম্পের উদ্বোধন করলেনন চন্দনগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।
চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দারা টোটোন বিশ্বাসের নামের সঙ্গে বেশ ভালো মতই পরিচিত৷ হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে নাম রয়েছে টোটনের৷ অভিযোগ, টোটন জেলে থাকলেও, তার দলের দাপট একই রকম রয়েছে। গতবছর অগাস্ট মাসে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে তাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করেছিল তারই বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা। পেটে গুলি লাগলেও সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায়৷ একাধিক খুন ও তোলাবাজিতে অভিযুক্ত টোটোন বর্তমানে জেলে থাকলেও রবীন্দ্রনগর এলাকা তার দখলে থাকে বলেই অভিযোগ। তার ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়েও বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। এলাকায় এক প্রকার ত্রাস তৈরি করে রেখেছে সে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও ঘটনা ঘটলে চুঁচুড়া থানা থেকে পুলিশ এসে পৌঁছনোর আগেই গা ঢাকা দেয় টোটনের সাগরেদরা৷
এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের আস্থা-ভারসা ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরেই রবীন্দ্রনগরে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের প্রয়োজন ছিল। রবীন্দ্রনগরের পরিত্যক্ত মঙ্গল পাণ্ডে পুলিশ আবাসনেই এদিন নতুন পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হল৷ ক্যাম্পে একজন এসআই, একজন এএসআই, ছ’জন কনস্টেবল ও চারজন সিভিক থাকবেন বলে জানা গিয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
থানা উদ্বোধনের পর পুলিশ কমিশনার বলেন, “রবীন্দ্রনগর ভুল কারণে পরিচিতি পেয়েছে। এই এলাকায় অনেক ভালো মানুষ ও শিক্ষিত মানুষজন বাস করেন। তাই মানুষের পাশে থাকা, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য।” ক্যাম্প উদ্বোধনের পর শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতও তুলে দেওয়া হল প্রবীণদের হাতে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিলি করা হয় ডিকশনারি।