নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা দেশ৷ রয়েছে টিকার আকাল৷ তবে এরই মাঝে খানিক স্বস্তির খবর৷ কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর দেশে এল রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি৷ শনিবার মস্কো থেকে টিকা নিয়ে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় রুশ বিমান৷
আরও পড়ুন- ফের অক্সিজেনের অকাল, চিকিসক সহ দিল্লিতে মৃত্যু 8 করোনা আক্রান্ত রোগীর
এই মুহূর্তে টিকাকরণ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যে একটা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ বলা হয়েছে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে ৫০ শতাংশ টিকা কিনে নেবে কেন্দ্র৷ বাকি ৫০ শতাংশ টিকা কিনবে রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ কিন্তু টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে জুলাই মাসের আগে তারা বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে না৷ রাজ্য সরকারগুলি কী ভাবে টিকা কিনে বণ্টন করবে, তা নিয়েও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ শনিবার ও রবিবার কলকাতায় বন্ধ রয়েছে টিকাকরণ৷ অন্যদিকে স্টক না থাকায় সোমবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি টিকা দিতে পারবে না৷ এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া থেকে এসে পৌঁছল স্পুটনিক ভি৷ যা অনেকটাই স্বস্তির৷ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই টিকা এবার বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে৷
বলে রাখা ভালো, ভারতেও স্পুটনিক ভি-র ট্রায়াল হয়েছে৷ ট্রায়াল হয়েছে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালেও৷ এই টিকা নেওয়ার পর সে ভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷ এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেয়৷ অর্থাৎ তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসাবে এবার ভারতের বাজারে আসতে চলেছে স্পুটনিক ভি৷ পশ্চিমবাংলার মানুষও স্পুটনিক ভি পাবে বলে আশাবাদী৷ তবে কবে এই টিকা রাজ্যে পৌঁছবে তা এখনও জানা নেই৷
ড.রেড্ডিস ল্যাবরেটরি রুশ সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে৷ তারাই এরপর থেকে ভারতে স্পুটনিক ভি উৎপাদন করবে৷ ড. রেড্ডিস ল্যাবরেটরিই ভারতে এই টিকার বাণিজ্যিকিকরণের দায়িত্বে রয়েছে৷ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা স্পুটনিক ভি-র চেয়ে বেশি বলে অনেকেই দাবি করেছেন৷ যদিও চিকিৎসকদের মতে, এই তিনটি টিকার মধ্যে যে কোনও একটি নিতে পারবে মানুষ৷
আরও পড়ুন- করোনার টিকা নিয়ে ধূমপান? এর ফল কী হতে পারে জানেন
স্পুটনিক ভি-র কতগুলি ডোজ ভারতে এসে পৌঁছেছে, সে সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, মে-র প্রথমার্ধেই দেড় থেকে দুই লক্ষ ভ্যাকসিন ভারতে পৌঁছবে৷ এই মাসের মধ্যেই এসে যাবে আরও ৩০ লক্ষ ডোজ৷ আর জুনের মধ্যে ভারতে চলে আসবে ৫০ লক্ষ ডোজ৷