মস্কো: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা না গেলেও অনুমান করা হচ্ছে পরের বছর মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাকসিন চলে আসতেই পারে। কারণ ইতিমধ্যেই কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা দাবি করেছে তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী। আমেরিকান সংস্থা ফাইজার সহ আরো একটি মার্কিন সংস্থার দাবি করেছিল, তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। এবার এইরূপ দাবি করল রাশিয়ান করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ প্রস্তুতকারক সংস্থা। বলা হল, তাদের ভ্যাকসিনও ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী।
এদিন গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি সংস্থার তরফ জানানো হয়েছে, প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রায় ৯১ শতাংশ কার্যকরী হয় স্পুটনিক-৫। এখন প্রায় ৪২ দিনের মাথায় এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন ২ সংস্থার দাবির পর রাশিয়ার ভ্যাকসিনের এই খবর স্বাভাবিকভাবেই আশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর। যদিও রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন কে প্রথম পর্যায়ে একেবারেই সবুজ সঙ্কেত দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ একাধিক দেশ। দাবি করা হয়েছিল, এই ভ্যাকসিন সব রকমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। শুধুমাত্র রাশিয়ার দাবি মেনে একে করোনাভাইরাস এর প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে পরিগণিত করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফার্মা সংস্থা ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। তারপর আরো এক মার্কিন সংস্থা মডার্না দাবি করেছিল, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকরী! যদিও একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের আগে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আসবে না, আবার রিপোর্ট বলেছে, হয়তো কোনদিনই করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর কাজ স্থগিত রাখেননি বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।