ঘরে ফিরছে ‘গেরুয়া’ কানান? রত্মার পদ ছিনিয়ে শোভন-ঘনিষ্ঠকে দায়িত্ব

ঘরে ফিরছে ‘গেরুয়া’ কানান? রত্মার পদ ছিনিয়ে শোভন-ঘনিষ্ঠকে দায়িত্ব

কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে ফের বড় চমক৷ নবান্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের পরে দায়িত্ব ছাড়লেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷

তাহলে বিজেপি থেকে শোভনকে তৃণমূলের ফেরানোর রাস্তায় কী পাকা? দলের দায়িত্ব দেওয়ার ৭ মাথায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে বেহালা পূর্বের দায়িত্ব গেল শোভন ঘনিষ্ঠ সংশ্লিষ্টের ঘাড়ে৷ এলাকায় বড়৷ কাজ করা অসম্ভব৷ তাই নিজে থেকেই দায়িত্ব ছেড়েছি৷ দায়িত্ব নেওয়ার ৭দিন পর নিজের অবস্থান বদলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া রত্না চট্টোপাধ্যায়ের৷ মমতা বৈশাখীর সাক্ষাতের পর শোভনকে নিয়ে কি নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে? তৃণমূলে ফেরা কি এখন সময়ের অপেক্ষা? তুঙ্গে জল্পনা৷

দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর সংবাদমাধ্যমে রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘দল আমাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিল৷ ভেবেছিল আমি গেলে বেহালার সাফল্য ধরে রাখা যাবে৷ কিন্তু আমার মনে হয়েছে, বেহালা আমার হাতের তালুর মতো চেনা নয়৷ এর পরিধি এত বড়, সেই জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত৷ যেটা কভার করা আমার পক্ষে একটু কষ্টকর৷ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডও আমাকে দেখতে হয়৷ এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দেখতে গিয়ে ওটা অবহেলা করছিলাম৷ একদিক থেকে আবার এলাকা দেখতে গিয়ে ওয়ার্ডে সময় দিতে পারছিলাম না৷ আমি অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, দল আমাকে যে আশা নিয়ে যে জায়গাটা দিয়েছে, আমি মনে হয়, সেটা করতে পারবো না৷ তাই আমি আজ সকালে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়ে এসেছি, এই দায়িত্ব আমি নিতে পারছি না৷ এই দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম৷’’

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের  সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে রাত্মাদেবীর মন্তব্য, ‘‘নবান্নে কী মিটিং হয়েছে, সেটা এখনও পর্যন্ত কেউ জানে না৷ আমি কেন ছেড়ে দিলাম? এটা আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত৷ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে কিছুই বলেননি৷’’

কয়েকদিন আগে পর্যন্তও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল শিবিরে ফেরা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তবে গত সপ্তাহেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের ওয়ার্ড (১৩১ নং) ও বিধানসভা কেন্দ্রের (বেহালা পূর্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে শোভনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা কার্যত শেষ হয়েছিল। কিন্তু শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা অন্যদিকে মোড় নেয়। এই পরিস্থিতিতে সেই জল্পনা আরও তুঙ্গে বৈশাখীর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে৷ যদিও নবান্নে যাওয়ার সঙ্গে শোভনের তৃণমূলের ফেরার সম্পর্ক নেই বলেই জানান তিনি৷ তবে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ‘কাননে’র খোঁজ নিয়েছেন, সে কথা জানিয়েছেন বৈশাখী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − eleven =