বৈশাখী নন, শোভনের চিন্তায় এখন রত্না! কোন কূলে কানন তরী?

বৈশাখী নন, শোভনের চিন্তায় এখন রত্না! কোন কূলে কানন তরী?

কলকাতা: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নন৷ বরং রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই বেশি ভাবছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ এক সময় রত্না তাঁর চিন্তায় ছিলেন৷ এখন দুঃচিন্তা হয়ে উঠেছেন৷ ভবিতব্য এমনই, শোভন তৃণমূলে না বিজেপিতে থাকবেন তা অনেকটাই নির্ভর করছে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপর৷

বৃহস্পতিবার শোভনের ঘনিষ্ট সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন৷ পরে বৈশাখী বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক ছিন্ন, কিন্তু, তৃণমূলের সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক রয়েছে৷ কিন্তু, তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইদানিং রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বেহালার বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন৷ যা শোভন অনুরাগীরা ভালোভাবে নেননি৷ মুখ্যমন্ত্রী সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন৷ আশা করি তিনি শোভনের সমস্যার সমাধান করবেন৷

যদিও সমস্যার সমাধান হবে এমনটা বলা যাচ্ছে না৷ মেয়রপদ এবং তৃণমূল ছাড়ার পর শোভনের ফেলে আসা সম্রাজ্য এখন রত্নার হাতে৷ তিনিই দেখাশোনা করেন শোভনের ওয়ার্ড থেকে বিধানসভা কেন্দ্র৷ রত্না আঁকড়ে রয়েছেন৷ কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পিছনে রয়েছে৷ যা ভাল চোখে দেখেননি শোভন৷ অতি সম্প্রতি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রত্নাকে দায়িত্ব 'অফিসিয়ালি' দায়িত্ব দিয়েছেন৷ যে দেখে বেজায় ক্ষেপেছেন শোভন৷

আপাতত যা পরিস্থিতি, দলের কাছে শোভনের সাফ কথা, রত্নাকে তা তাড়ালে তিনি তৃণমূলে যাবেন না৷ অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মেয়র পদেপ্রার্থী হিসাবে শোভনকে চায় বিজেপি৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নাকি শোভন কে চেয়েছেন৷ এই পরিস্থিতিতে শোভনের হাতে অস্ত্র হিসাবে রয়েছে পদ্মফুল৷ যা তিনি ঘাসফুলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে, এটাও ঠিক, বৈশাখী মোড়ে এসেই বিজেপির রথ আটকে যায়৷ শোভন চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছয় না৷ বৈশাখী চান 'শোভন-বিজেপি' যাতে বাস্তবতা না পায়৷ কারণ, একটাই বিজেপি বৈশাখকে কিছুতেই জায়গা দিতে রাজি নয়৷ বিজেপির শুধু ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শোভন চাই৷ কিন্তু, বৈশাখী তা মানবেন কেন৷ তিনি চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝে দাঁড়িয়ে শোভন কে তৃণমূলে টেনে নিন৷ হারানো সুর মিলে যায়৷ এবং একই সঙ্গে, রত্না দূর হোক৷ যা আপাতত সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + fifteen =