এ যুগের শ্রবণ কুমার! মায়ের স্বপ্ন পূরণে তাঁকে কাঁধে নিয়ে পাহাড় চড়লেন দুই ভাই

এ যুগের শ্রবণ কুমার! মায়ের স্বপ্ন পূরণে তাঁকে কাঁধে নিয়ে পাহাড় চড়লেন দুই ভাই

কলকাতা:  এ যুগের শ্রবণ কুমার! মায়ের স্বপ্ন পূরণে দুই ভাই যা করলেন, সেই কাহিনি সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়৷

আরও পড়ুন- নিশানায় চিন-পাকিস্তান! জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে ‘পরমাণু ত্রিশূল’ সম্পূর্ণ ভারতের

ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে সকলেই কম-বেশি ঘুরতে যায়৷ ছেলেমেয়ের আবদার পূরণ করতে পিছু পা হয় না বাবা-মায়েরাও৷ কিন্তু, বয়স বাড়ার পর তাঁদের স্বপ্ন পূরণে কতজন ছেলে-মেয়ে এগিয়ে আসে? সেই সময় বন্ধু-বান্ধব, নয় জীবনসঙ্গীই হয় ঘুরতে যাওয়ার পার্টনার৷ আর তাতে বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করেন কমবেশি সকলেই৷ সেখানে বাবা-মাকে নিয়ে ঘোরার কথা ভাবে ক’জন? কিন্তু, মায়ের স্বপ্ন পূরণের কথা ভেবেছে কেরলের দুই ভাই৷ তাঁদের কাহিনি শুনে কুর্নিশ জানাল নেটিজেনরা৷ বৃদ্ধা মায়ের আশা পূরণে তাঁকে কাঁধে নিয়ে পাহাড় চড়ল দুই ছেলে৷

কোট্টায়াম জেলার মুতুচিরার বাসিন্দা ৮৭ বছরের এলিকুট্টি পল একবার তাঁর ছেলেদের বলেছিলেন, পার্শ্ববর্তী জেলা ইদুক্কিতে ফুটে থাকা নীরকুঞ্জি নামের দুর্লভ ফুলগুলি দেখার বড় সাধ তাঁর। ব্যাস! মায়ের স্বপ্ন পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর দুই পুত্র। বলে রাখা ভাল, নীরকুঞ্জি ফুলটি বারো বছরে এক বারই ফোটে।

এলিকুট্টির দুই ছেলে রোজন এবং সত্যান তাঁদের বৃদ্ধা মাকে একটি জিপে করে মুন্নারের কাছে কালিপাড়া পাহাড়ে নিয়ে আসেন৷ এক জন্য ১০০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেন তাঁরা। তবে সেখানে এসে দেখেন, গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাকিটা পথ হেঁটেই অতিক্রম করতে হবে তাঁদের। এবার কী হবে? এখান থেকে ফিরে গেল তো আর মায়ের স্বপ্ন পূরণ করা হবে না৷ তাই দুই ছেলে একেবারে মাকে কাঁধে তুলে নেন৷ তার পর দেড় কিলোমিটার খাড়া পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছন। পাহাড়ের চূড়া তখন নীল নীরকুঞ্জি ফুলের চাদরে ঢাকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই ভাইয়ের মাতৃভক্তি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। অনেকেই তাঁদের শুভকামনা জানান। দীর্ঘ বারো বছর পর এ বছর নীলকুরিঞ্জি ফুটেছে কেরলের কালিপাড়ায়। ইদুক্কি জেলার মুন্নারের কাছে ছোট্ট গ্রাম বিখ্যাত হয়েছে৷ নীলকুরিঞ্জি ফুলের জন্য এই গ্রাম বিপর্যটন মানচিত্রেও স্থান পেয়েছে।