রাহুলের বিয়ে দিয়ে দিন, শুনে কী বললেন সোনিয়া?

রাহুলের বিয়ে দিয়ে দিন, শুনে কী বললেন সোনিয়া?

নয়াদিল্লি: পাখির চোখ ২০২৪৷ কেন্দ্র থেকে বিজেপি’কে গদিচ্যুত করতে জোটবদ্ধ হয়েছে ২৬টি দল৷ তবে অনেক দিন আগে থেকেই জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী৷ হরিয়ানার মহিলা কৃষকদের সঙ্গেও বেশ কিছুদিন ধরে আলাপ আলোচনা করছেন কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি তাঁকে মাঠে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে ধান বুনতেও দেখা গিয়েছে৷ যদিও সবটাই প্রতীকী। রাহুল যে কৃষকদের সমস্যার কথা বুঝতে চাইছেন, সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই এই পদক্ষেপ৷ 

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি৷ কৃষক পরিবারের ওই মহিলা সদস্যদের দশ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান তিনি৷ সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি তাঁদের মাঝে বসে খোলাখুলি আড্ডা দেন সোনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী৷ সেই আড্ডার একটি ভিডিয়ো নিজে টুইট করেছেন রাহুল। সেখানে দেখা গিয়েছে এক মহিলা সোনিয়াকে বলছেন, ‘‘রাহুলজির বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন না কেন?’’ একথা শোনার পর মা সোনিয়া বলেন, “আপনারাই একটা মেয়ে খুঁজে দিন না!”

মহিলা ক্ষমতায়ণ, খাদ্য সুরক্ষা, পণ্য পরিষেবা কর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কৃষক পরিবারগুলির সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করছেন রাহুল। মাঝেমধ্যে তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

এদিন টুইট করে রাহুল  বলেন, “মা ও প্রিয়ঙ্কার জন্য এটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে৷ বাড়িতে কিছু বিশেষ অতিথি এসেছিলেন। সোনিপতের মহিলা কৃষকরা দিল্লি দর্শন করতে এসেছিলেন, তাঁরা বাড়িতে এসে নৈশভোজও করলেন। ওঁদের কাছ থেকে আমরা বহুমূল্য উপহারও পেলাম—দেশি ঘি, মিষ্টি লস্যি, বাড়িতে তৈরি আচার আর অফুরন্ত ভালবাসা।”

রাহুল যে ভিডিয়ো ফুটেজ টুইটে শেয়ার করেছেন সেটি ১৬ জুলাইয়ের। তবে সেটি এদিন পোস্ট করেন ওয়ানাড়ের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। ওই ভিডিয়োতে বেশ কিছু উৎসাহী মহিলাকে দিল্লির রাস্তায় দেখা গিয়েছে। এর পর তাঁরা দশ জনপথে গিয়ে সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্পও করেন৷ ছিলেন রাহুলও৷ সেখানে মুদ্রাস্ফীতি, ওষুধের চড়া দাম, সার, বিদ্যুৎ, জিএসটি ইত্যাদি নিয়ে তাঁদের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন৷

সকলের মাঝে বসে আবার রাহুলকে বলতে শোনা যায়, “মহিলারা কারও চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। সমাজে মহিলাদের উঠতে দেওয়া হয় না। কিন্তু মহিলাদের এবার নির্ভয় হয়ে মনের কথা বলার সময় এসে গিয়েছে।”

আবার প্রিয়ঙ্কাকে তাঁদের পরিবারের পুরনো ছবি বের করে দেখান৷ তিনি বলেন, “রাহুলকে ছবিতে দেখে শান্ত মনে হচ্ছে তো! কিন্তু ও প্রচণ্ড দুষ্টু ছিল। ওর দুষ্টুমির জন্য আমাকে বকুনি খেতে হত।”
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + four =