solidarity
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২২ জানুয়ারি কেন সংহতি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে? এবার এই প্রশ্ন তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যে প্রশ্ন নওশাদ তুলেছেন তাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।
২২ জানুয়ারি কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই আদালতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধাক্কায়ও খেয়েছেন তিনি। এবার নওশাদ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী আসলে উস্কানি দিতে চাইছেন।’’
তিনি বলেন, “২২ তারিখ মিছিল ডেকে উস্কানি দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে সংখ্যালঘু ও সুশীল সমাজের উদ্দেশে এই বার্তা দিতে চাই যে, আপনারা এই ফাঁদে পা দেবেন না।” বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দুবাবু যে রকম কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর কথা বলছেন তা আমি মনে করি না। বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর প্রয়োজন নেই, বাংলার মানুষ শান্তিপ্রিয়। ওঁরা (বিজেপি)
সুযোগ পেয়েছেন এ নিয়ে রাজনীতি করার। তাই এসব করবেনই। কিন্তু এও বিশ্বাস করি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাতা ফাঁদে ওই দিন কারও পা দেওয়া ঠিক হবে না। আমি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এবং ধর্মনিরপেক্ষ সুশীল সমাজের উদ্দেশে বলতে চাই এই প্ররোচনায় পাওয়া দেবেন না।”
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সংহতি মিছিল নিয়ে বিকল্প পরামর্শ দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদ বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ তারিখের সংহতি মিছিল বাতিল করে ২৩ তারিখ হাঁটুন। আমিও তাতে হাঁটব। ২৩ তারিখ আইএসএফ দেশপ্রেম দিবসের ডাক দিয়েছে। ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাঁটতে রাজি। কিন্তু ২২ তারিখে নয়।”
ঘটনা হল বিভিন্ন ইস্যুতে নওশাদ ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলকে বহুদিন ধরেই আক্রমণ করে চলেছেন। কয়েক মাস আগেই তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন। একাধিকবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই নওশাদের প্রতিটি বক্তব্য খবরের শিরোনামে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি চাইছেন না ২২ জানুয়ারি সংহতি মিছিল কলকাতায় হোক। বলাবাহুল্য সংখ্যালঘু জগতের অন্যতম মুখ নওশাদ এমন দাবি করায় গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।